আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড করলেন আয়ারল্যান্ডের বোলার কার্টিস ক্যাম্ফার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ডাবল হ্যাটট্রিক করলেন এই আইরিশ পেসার।
বাছাইপর্বের ম্যাচটিতে টসে জিতে আইরিশদের বোলিংয়ে পাঠায় নেদারল্যান্ডস। তবে ব্যাট হাতে বাজে শুরু করে ডাচরা। প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় দলটি, ১ রানে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৯.১তম ওভারে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২/৫০। পরের ওভারেই শুরু হয় ক্যাম্ফারের তাণ্ডব।
দশম ওভারের ২য়, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম বলে উইকেট নিয়ে চলতি বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক করার কীর্তি গড়েন ক্যাম্ফার। একইসঙ্গে টানা চার উইকেট নিয়ে গড়েন বিশ্বরেকর্ড। ২০০৭ সালের আসরে অস্ট্রেলিয়ান পেসার ব্রেটলি’র পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করলেন ক্যাম্ফার।
আর আয়ারল্যান্ডের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক তার।
ইনিংসের নয় ওভার শেষে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ছিলো ২ উইকেটে ৫০ রান। ক্যাম্ফারের অবিশ্বাস্য ওভারের পর তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৫২ রান। এই ওভারে সাজঘরে ফিরেছেন কলিন অ্যাকারম্যান (১১)। ওভারের দ্বিতীয় বলে কট বিহাইন্ড হন তিনি। রিভিউয়ের আবেদন করেও বাঁচতে পারেননি এই ডাচ ব্যাটার। পরের দুই বল লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ডেসকাট ও এডওয়ার্ডস, পূরণ হয় ক্যাম্ফারের হ্যাটট্রিক। ঠিক পরের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে ডাবল হ্যাটট্রিকের শিকার হন মারউই। তিন ব্যাটারের কেউই খুলতে পারেননি রানের খাতা।
বিশ্বের তৃতীয় বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চার বলে চার উইকেট নিয়ে ডাবল হ্যাটট্রিক গড়ার কীর্তি অর্জন করলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। এছাড়া ডাবল হ্যাটট্রিক করার কীর্তি দেখিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক পেসার লাসিথ মালিঙ্গা ও আফগানিস্তানের রশিদ খান। বিশ্বে একমাত্র বোলার হিসেবে দুই ফরম্যাটে ডাবল হ্যাটট্রিকের কীর্তি রয়েছে মালিঙ্গার- লঙ্কান পেসার ওয়ানডে ও টি- টোয়েন্টিতে একবার করে চার বলে চার উইকেট নিয়েছিলেন।