কাশিমপুর সারদাগঞ্জের হাজী মার্কেট এলাকায় স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। গতরাত ১টার দিকে স্বামী ফিরোজ (২৭) ও স্ত্রী তাহমিনা (২২) পাখি মারার বিষ খেয়ে নিজেরাই রুমের দরজা খুলে আমাদের বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকে। তাদের চিৎকারে আশপাশের কয়েকজন এগিয়ে এসে তাদের স্থানীয় মেডিকেলে পাঠায়। পরে সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, ফিরোজ বিগবস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতো। তিনি নওগাঁ জেলার মান্দা থানার হাফিজ উদ্দিন ও ফরিদা বেগমের ছেলে। তাহমিনা আক্তার নেত্রকোনা জেলার আততারা থানার সবমৈশা গ্রামের সবুজ মিয়া ও গেন্ডার বড় মেয়ে।
৩ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে তাহমিনা সবার বড়। গত ৪ মাস ধরে তারা সারদাগঞ্জের হাজী মার্কেট এলাকার জাহিদের বাসায় ভাড়া থাকতো। মৃত তাহমিনার ভাই নাসির জানায়, বছর খানিক আগে তারা নিজেরাই বিয়ে করে ঢাকা চলে আসে। বিয়ের পর দু’জনেই চাকরি করতো। তাহমিনা প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর অসুস্থ থাকায় চাকরি বাদ দিলে ফিরোজের পক্ষে একা সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় কিছুদিন ধরে ফিরোজও তার কর্মস্থলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে অভাবের তাড়নায় তারা একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছে বলে তার ধারণা।