নবীগঞ্জের কুর্শি ইউনিয়নের বাংলাবাজারে সন্ত্রাসী হামলায় সরাসরি জড়িত দুই দাঙ্গাবাজ আব্দুর রহিম (৫৮) ও তার পুত্রকে দিলাল মিয়া (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত গভীর রাতে এসআই লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় মূল সন্ত্রাসী তাহিদ মিয়ার পুত্র মঙ্গল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে মর্মে খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৩ই অক্টোবর বিকালে উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামে পুকুরে গোসল করাকে কেন্দ্র করে রিয়াজ (১৩) নামের এক শিশুকে নির্দয় নির্যাতন করে ওই গ্রামের মৃত ইজন চৌকিদারের পুত্র আব্দুর রহিম। খবর পেয়ে রিয়াজের পিতা আবুবক্কর তালুকদার তাকে উদ্ধার করে। এ সময় বাংলাবাজার নিয়ে আসার পথে রহিমের সহোদর সন্ত্রাসী বজলের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পিতা-পুত্রকে গুরুতর আহত করে আলোচিত সন্ত্রাসী মঙ্গল মিয়া, বজল, ফজল মিয়া, সালাম, আব্দুস ছালেক, দিলাল ও রহিমের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনাকে নজিরবিহীন হিসেবে অভিহিত করেন এলাকার লোকজন।
গুরুতর আহত দু’জনকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় রিয়াজের সহোদর কলেজছাত্র রেদুওয়ান আহমদ ১৭ই অক্টোবর ৮ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় চৌকিদার ইজনের পুত্র সালাম এবং তাহিদের পুত্র মঙ্গলকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়াও বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে থানার এ এসআই লুৎফুর রহমান বলেন, অপরাধ নির্মূলে পুলিশ বদ্ধপরিকর। অভিযুক্তদের শিগগিরই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।