বিশ্বকাপের আগে ঘটনাবহুল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আফগানিস্তানের বেশিরভাগ ক্রিকেটারদের। দেশটিতে ঘটেছে ক্ষমতার পালাবদল। যার প্রভাব পড়েছে আফগান ক্রিকেটে। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে পছন্দের ব্যক্তিদের চেয়ারে বসিয়েছে তালেবান। নিষিদ্ধ করেছে নারীদের খেলাধুলা। তাতে বন্ধ হয়ে গেছে আফগান নারীদের ক্রিকেট। যার প্রভাবে আফগানদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া। শঙ্কা জেগেছিল রশিদ-নবীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা।
সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে বিশ্বমঞ্চে নামার অপেক্ষায় আফগানরা। রশিদ খান, মোহম্মদ নবী, মুজিব উর রহমানের মতো টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ রয়েছে আফগান দলে। যাদের ঘিরেই বিশ্বকাপে ভালো করার স্বপ্ন বুনছে তারা। রশিদ খান হঠাৎ করেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেয়ায় মোহাম্মদ নবীর উপরে এসেছে নেতৃত্বের ভার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বেশ শক্তিশালী আফগানিস্তান। ২০১৮-১৯ মৌসুমে টানা ১২টি আন্তুর্জাতিক টি-টোয়েন্টি জিতেছিল তারা, যা অন্য যেকোনো দলের চেয়েই বেশি। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ডটিও আফগানদের দখলেই। ২০১৯ সালে দেরাদুনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান করে তারা। বিশ্বকাপে দলটির অধিনায়ক নবী জানিয়েছেন, সাহসী হয়েই বিশ্বকাপে খেলতে চায় তার দল। নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ভেবে মুখিয়ে আছেন তিনি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএল খেলার জন্য রশিদ খানের পাশাপাশি নবীও আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। নবী জানান, ‘আমাদের দলটি দুর্দান্ত। গত দেড় মাস ধরে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভিসা নিয়ে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার ফলে তারা সবাই আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসতে পারেনি কিন্তু কাতারে অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছে। আমাদের চিন্তাধারাটাই এরকম যে সবসময় সাহসী ক্রিকেট খেলতে হবে। বোলিংয়েও আমরা এভাবেই চিন্তা করি, হোক তা পেস বোলিং কিংবা স্পিন বোলিং। হ্যাঁ অধিনায়কত্ব করাটা কিছুটা কঠিন কাজ কিন্তু আমি আমার সেরাটা দিয়ে দলকে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করব।’