× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘খেলোয়াড়রা রোবট নয়, ভুল করতেই পারে’

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৯ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের বিদায়ের জোর শঙ্কা জেগেছে। দলের হারে সিনিয়রদের দায় দেখছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বলেছেন, সিনিয়ররা দায়িত্ব নিয়ে খেলেননি। তবে খেলোয়াড়দের দোষ দিচ্ছেন না রাসেল ডমিঙ্গো। বাংলাদেশ কোচের চোখ এখন ওমানের বিপক্ষে বাঁচা মরার লড়াইয়ে। একইসঙ্গে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনার আভাস দিয়েছেন ডমিঙ্গো।
পাপন দলের পারফরম্যান্স ও সিনিয়রদের কড়া সমালোচনা করার কয়েক ঘণ্টা পর সংবাদসম্মেলনে উপস্থিত হন ডমিঙ্গো। তার মতে, খেলোয়াড়রা রোবট নয়, তারা রক্ত মাংসে গড়া মানুষ।
তাদের ভুল হতেই পারে।
ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘সভাপতির বিষয়ে কথা বলতে আমি এখানে আসিনি। সকলেরই তাদের মতামত জানানোর অধিকার রয়েছে। কিন্তু আমি খেলোয়াড়দের সমালোচনা করছি না। তাদের ওপর আমার পুরো আস্থা আছে। মাঠের বাইরে কি হচ্ছে এ নিয়ে এখন আমার চিন্তা নেই। আমার পুরোপুরি মনোযোগ এখন ওমানের বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে, কীভাবে সেখানে শতভাগ দিতে পারে।’
পাপনের অভিযোগের বিরোধিতা করে ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘যদি কোনো শটে চার হয় তাহলে সেটি ভালো শট, আউট হলে এটি খারাপ শটÑ এটাই টি-টোয়েন্টির চরিত্র। খেলোয়াড়দের নিজেদের মতো খেলার স্বাধীনতা দিতে হবে। তারা তো আর রোবট না, তারাও মানুষ। ভুল হতেই পারে। এগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে আমাদের।’
ডমিঙ্গো বলেন, ‘এখানে পাওয়ার প্লে’র গড় রান ৪০ থেকে ৪৫ হয় এবং সেটি খুব বেশি কিন্তু না। পাওয়ার প্লেতে অন্য দলগুলোকেও সংগ্রাম করতে দেখা গেছে। উইকেট ধরে রাখতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি ৩৫ থেকে ৪৫ রান তোলা যায়, তাহলে সেটি সাহায্য করবে। আমাদের এখন থেকে পাওয়ার প্লেতে আরও ভালো করতে হবে। প্রথম ছয় ওভারে আমাদের আক্রমণ ও রক্ষণাত্মক খেলার মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে।’
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেননি সৌম্য সরকার। ওপেনে লিটন দাসের সঙ্গী হিসেবে নাঈম শেখকে দেখা যেতে পারে বলেন জানান ডমিঙ্গো। তিনি বলেন, ‘বড় কোনো পরিবর্তন হবে না। তবে ব্যাটিং লাইন আপে একটি-দুটি বদল হতে পারে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সিরিজে যেমন দেখেছেন, ব্যাটিং অর্ডারে আমরা অটলর থাকিনি। আফিফকে কখনও পাঁচে, কখনো সাতে খেলিয়েছি, কখনো বা সোহানকে সাতে খেলানো হয়েছে। এটা নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর।
সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পাপন বলেছিলেন, ‘হার-জিত নিয়ে আমি ভাবছি না। এটা হতেই পারে। যেকোনো দল হারতে পারে, জিততে পারে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কিছুই বলা যায় না। কিন্তু যে জিনিস আমাকে অবাক করেছে, সেটি হচ্ছে দলের ক্রিকেটারদের খেলার ধরন। কিছুই ঠিক ছিল না। প্রথম ৬ ওভারের সুবিধা কাজে লাগাতে হয়। কিন্তু ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহরা যেভাবে ব্যাটিং করেছে, আমার মনে হয়, আমরা ম্যাচটা সেখানেই হেরে গেছি। ১৪১ রান তাড়া করার মতো ব্যাটিং করেনি তারা।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর