এমপি ডেভিড অ্যামেসকে হত্যার পর নানা বিতর্ক বৃটেনজুড়ে। কেউ বলছেন, সন্দেহজনক হামলাকারী আলি হারবি আলি (২৫) আগে থেকেই পুলিশের কাছে চিহ্নিত ছিল। তা সত্ত্বেও কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অন্যদিকে, অভিযোগ উঠেছে বৃটেনে বিতর্কিত ধর্মীয় নেতা আনজাম চৌধুরীর ভিডিও দেখে দেখে হামলাকারী উগ্রপন্থি হয়ে উঠেছে। এ অভিযোগ আনজাম চৌধুরী প্রত্যাখ্যান করেছেন। বলেছেন, তার নিজের ইন্টারনেট সুবিধা নেই ৬ বছর ধরে। আর ইউটিউবে তার যেসব ক্লিপ ছিল তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পক্ষান্তরে ৫৪ বছর বয়সী এই ধর্মীয় নেতা বলেছেন, বৃটিশ এমপি ডেভিড অ্যামেসকে ইসরাইলপন্থিরা হত্যা করে থাকতে পারে।
এ জন্যও তার সমালোচনা হচ্ছে। সাউথএন্ড ওয়েস্টের এমপি ডেভিড অ্যামেসকে হত্যার একদিন পরেই আনজাম চৌধুরী ওই মন্তব্য করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল।
হামলাকারী আলি হারবি আলিকে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে আটক করেছে। তবে তার বন্ধুরা বলেছেন, আলি হারবি ইউটিউবে উগ্রপন্থি ভিডিও দেখতো। এসব ভিডিও আনজাম চৌধুরীর। তা থেকে সে কট্টরপন্থি হয়ে উঠেছে। বৃটেনের দ্য সান পত্রিকাকে তারা আরো বলেছে, আলি হারবি সবার কাছে প্রিয় একজন ছাত্র ছিল। তা থেকে সে কট্টরপন্থি হয়ে উঠেছে। এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন আনজাম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এমন দাবি প্রশ্নের সৃষ্টি করে। কারণ, আইসিস বা আইএস’কে সমর্থন করার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত তিনি ইউটিউবে কোনো ভিডিও আপলোড করতে পারেননি। আনজাম চৌধুরীর প্রশ্ন, তাহলে কিভাবে আলি হারবিকে আমি উগ্রপন্থি বানালাম? আনজাম চৌধুরী আরো বলেন, পুলিশ বিবৃতি দেয়ার আগেই সন্দেহজনকভাবে ধরে নেয়া হয়েছে যে, আলি হারবিকে আমি উগ্রপন্থি বানিয়ে দিয়েছি। কয়েক বছর ধরে আমি ব্যক্তিগতভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছি না। কোনো লেকচার বা কোনো কন্টেন্ট ইউটিউবে পোস্ট করতে পারছি না। আমাকে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে আইসিসে সমর্থন দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। তখন থেকে এ বছর জুলাই পর্যন্ত আমি ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। ২০১৮ সালের অক্টোবরে আমাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়। তারপর এ বছরের জুলাইয়ে আমার ইন্টারনেট এবং প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখার ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়। যদিও অনেক বছরে আমি বহু আলোচনা ও লেকচার পোস্ট করেছিলাম। কিন্তু এখন উল্লেখ করার মতো কোনো কন্টেন্ট কোথাও নেই। বৃটিশ সরকার ও অন্যদের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আমার কন্টেন্টগুলো সরিয়ে ফেলেছে। তাই আমার ইউটিউব ক্লিপ কিভাবে আলি হারবি আলিকে উগ্রপন্থি বানিয়েছে, তা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।