× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রতারণার ফাঁদে ৫ দিনমজুর চেম্বারেও বহাল জামিন

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২০ অক্টোবর ২০২১, বুধবার

 প্রতারকচক্রের ফাঁদে পড়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় পাঁচ দিনমজুরকে হাইকোর্টের দেয়া এক বছরের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। গতকাল বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। এ সময় আদালত ‘এরা তো কিছুই জানে না, এরা তো ভিকটিম’ বলে মন্তব্য করেন।
আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
গত ৬ই অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ পাঁচ দিনমজুরের এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। এ সময় হাইকোর্ট লুটপাটকারীদের পরিবর্তে সাধারণ দিনমজুর কৃষককে মামলার জালে জড়ানোয় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আদালত বলেন, লুটপাটকারীদের পরিবর্তে সাধারণ কৃষককে কেন ফাঁসানো হলো? হাইকোর্টের  জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ৩রা অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির পাঁচ দিনমজুরের পক্ষে জামিন আবেদন করেন।
ওই পাঁচ দিনমজুর হলেন- কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের নওদাবাঁশ গ্রামের বিধবা ফুলমনি রানী, রণজিৎ কুমার, প্রভাস চন্দ্র, কমল চন্দ্র রায় ও নিখিল চন্দ্র বর্মণ। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে চারজন কারাগারে আছেন।
গত ১৫ই জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে ‘করোনা প্রণোদনার নামে প্রতারকচক্রের ফাঁদে পড়ে ৪ দিনমজুর কারাগারে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগে গত ১লা জুলাই দুই সরকারি কর্মকর্তাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের শ্রীপুর হেডকোয়ার্টার শাখার ব্যবস্থাপক রেজাউল হক। সরকারি ২ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার ৯৬০ টাকা আত্মসাৎ চেষ্টার এ মামলায় গাজীপুর থানা পুলিশ ২রা জুলাই চার দিনমজুরকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। অপর এক দিনমজুর পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্ত পাঁচ দিনমজুরের পরিবারের দাবি, করোনা প্রণোদনা দেয়ার কথা বলে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। টাকা আত্মসাতের সঙ্গে তারা জড়িত নন। দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে তাদের ফাঁসানো হয়েছে।
মামলায় পাঁচ দিনমজুর ও শ্রীপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বজলুর রশিদ, হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর আরিফুর রহমান, মাস্টাররোল কর্মচারী তানভীর ইসলাম স্বপন ও ঢাকার উত্তরখান জামতলা এলাকার বাসিন্দা শাহেনা আক্তারকে আসামি করা হয়। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদীর পাড়ে বড়ভিটা ইউনিয়নের নওদাবাঁশ গ্রামের বাসিন্দা ওই পাঁচ পরিবার বলছে, সরকারি টাকা আত্মসাৎকারী একটি চক্রের প্রতারণার কারণে তাদের ভাগ্যে এখন বিপদ নেমে এসেছে। বসতভিটা ছাড়া তাদের আর কোনো সম্পদ নেই। সোনালী ব্যাংক নাগেশ্বরী শাখার ব্যবস্থাপক শরিফুল আজম গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাংক হিসাব চালুর কিছুদিন পর এই পাঁচ দিনমজুরের হিসাব নম্বরে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার ৯৬০ টাকা চলে আসে। এর মধ্যে রণজিতের সঞ্চয়ী হিসাবে ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭২০ টাকা, প্রবাসের ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ১২০ টাকা, সুবলের ৪০ লাখ ৭১ হাজার ৭২০ টাকা, কমলের ৪২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮০ টাকা এবং ফুলমণি রানীর হিসাব নম্বরে ৪৮ লাখ ৭০ হাজার ৫২০ টাকা আসে। তিনি আরও জানান, কয়েকদিন পর অপরিচিত তিন-চারজন লোক এসব হিসাব নম্বর থেকে টাকা তুলতে এলে তার সন্দেহ হয় এবং শ্রীপুর হেডকোয়ার্টার শাখায় যোগাযোগ করে টাকা উত্তোলন বন্ধ করা হয়। কিন্তু অপরিচিত লোকগুলোকে আটক করার আগেই তারা ব্যাংক থেকে সরে যায়। হিসাব নম্বরধারী দিনমজুররা এসবের কোনো কিছুই জানতেন না বলে জানান শরিফুল আজম।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর