একটানা বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিদ্ধস্ত উত্তরাখন্ড ও উত্তরবঙ্গ। নদীতে জলস্ফীতির ফলে প্লাবিত বহু এলাকা। ধস নেমেছে রাস্তায়। ভেসে গেছে সেতু। দুই রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ৫২। নিখোঁজ বহু। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান। বুধবার ফুলে ফেঁপে ওঠা তোর্সা নদীর জল জলগাঁওতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে আট ও দশ বছরের দুই কিশোরীকে।
উত্তরাখন্ড ও উত্তরবঙ্গে পুজোর ছুটি উপলক্ষে যে পর্যটকরা বেড়াতে গিয়েছিলেন তাদের বেশিরভাগই আটকে পড়েছেন। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক এর সঙ্গে শিলিগুড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে প্রবল ধসের কারণে। অন্তত ২৫টি গাড়ি ধসের কবলে পড়ে রাস্তায় আটকে আছে। বেশ কিছু গাড়ি জলে তলিয়ে গেছে বলে আশঙ্কা। তিস্তার জলে প্লাবিত উত্তরবঙ্গ। তোর্সা এবং জলঢাকা নদীর জল বিপদসীমার অনেক উপরে। ন্যাশনাল হাইওয়ে এবং লিংক রোডগুলি জলে প্লাবিত নয়তো ধস নেমে বিচ্ছিন্ন। পুজোয় পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া বহু বাঙালি পরিবার বিপন্ন। খোঁজ নেই অনেকের। সোম থেকে বুধবারের মধ্যে দার্জিলিং – কালিম্পঙ-এ ৪৬টি ধস নেমেছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। দার্জিলিংয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৩.৮ মিলিমিটার, কালিম্পঙ-এ ১৯৯ মিলিমিটার, জলপাইগুড়িতে ১৫৫ মিলিমিটার এবং কোচবিহারে ৬০.৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে যা সর্বকালীন রেকর্ড। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, কালিম্পঙ এবং জলপাইগুড়িতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আরও বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। হিমাচল প্রদেশে বহু রাস্তায় ধস নেমেছে। দেরাদুন ও নৈনিতাল কার্যত বিচ্ছিন্ন। পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া ৭০টি বাঙালি পরিবার আটকে পড়েছে উত্তরাখণ্ডে।