আর্থার রোড জেলে গিয়ে ছেলে আরিয়ান খানের সঙ্গে এই প্রথম দেখা করলেন শাহরুখ খান। কিন্তু, তখন তিনি জানতেন না যে, দুপুরের পরেই নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসাররা হানা দেবে বান্দ্রায় তার বাড়ি মান্নাতে। দুধসাদা নটি গাড়ি করে এন সি বি কর্তারা যান মান্নাতে। তারা তিন ঘণ্টা ধরে তল্লাশি করেন। বিশেষ করে মান্নাতের যে উইং-এ আরিয়ান থাকতো তার দিকেই বেশি নজর ছিল এন সি বি আধিকারিকদের। তবে তল্লাশিতে আপত্তিকর কিছু তারা পাননি বলেই খবর। যদিও আরিয়ানের ব্যবহৃত কিছু সামগ্রী তারা নিয়ে যান। গতকাল সকাল ৯টার দিকে শাহরুখ নিজে যান আর্থার রোডের জেলে।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবীদের একটি দল। জেলের ভেতর আরিয়ানের সঙ্গে প্রায় ১৫ মিনিট অবস্থান করেছিলেন শাহরুখ। তবে তাদের মধ্যে কি কথাবার্তা হয়েছে সে বিষয়ে জানা যায়নি। তবে জেলে গাড়ি এসে থামার পর কারও সঙ্গে তেমন কথা বলেননি তিনি। সরাসরি চলে যান ভেতরে। সাংবাদিকদেরও এড়িয়ে যান শাহরুখ। ছেলের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি আড়ালেই রাখতে চেয়েছিলেন শাহরুখ। যে কারণে কালো কাঁচের একটি ছোট গাড়িতে করে কারাগারে আসেন তিনি। তবে শাহরুখের আসার খবর আগে থেকেই পেয়ে গিয়েছিল সংবাদমাধ্যমগুলো। ফলে তারা আর্থার রোড জেলের মূল ফটকের বাইরে ভিড় করছিলেন। জেলের মূল ফটকের সামনেই গাড়ির পেছনের আসন থেকে নামেন শাহরুখ। পরনে টি-শার্ট এবং জিনসের ট্রাউজার। মুখ ঢাকা কালো মাস্কে। চোখে কালো সানগ্লাস। দেহরক্ষী পরিবেষ্টিত হয়ে তিনি দ্রুত জেলের ভেতরে চলে যান। ইতিমধ্যে আরিয়ানের জামিনের আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য মুম্বই হাইকোর্টে দরখাস্ত জমা করা হয়েছে।