ভাসানচর থেকে সন্ধ্যার পর মূল ভূখণ্ডে কোনো নৌযান চলবে না। এসময় ভাসানচর থেকে নোয়াখালী কিংবা হাতিয়ার যাতায়াতও বন্ধ থাকবে। রোহিঙ্গা বসবাসরত এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) সমন্বয়, ব?্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এসব সিদ্ধান্ত জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর ভেতরে আইনশৃঙ্খলা ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাড়ানোরও ব্যবস্থা করা হবে। নিরাপত্তা বাড়াতে এপিবিএন, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জনবল ও আনুষঙ্গিক সহায়তা (লজিস্টিক সাপোর্ট) দেয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, ক্যাম্পের ভেতরে পুলিশ, এপিবিএন, আনসার ও র্যাবের যৌথ টহল আরও বৃদ্ধি করা হবে। ক্যাম্পের বাইরে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব রয়েছে। তারা সব সময় সতর্ক অবস্থায় থাকবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক প্রবেশ ও বিক্রি রোধে তদারকি বাড়ানো হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান চালানো হবে। মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তে টহল আরও বাড়ানো হবে। নাফ নদে তদারকি জোরদার করা হবে। প্রয়োজনে উখিয়া ও টেকনাফে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ক্যাম্পগুলোতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার বেশ কিছু হয়েছে, আরও হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চলছে। সেটা অব্যাহত থাকবে। দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় ব্যবস্থা চলছে। দ্বিপক্ষীয় কথাবার্তা আরও জোরদার করবেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্মনিয়ন্ত্রণ ও নতুনদের তালিকাভুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।