চীন যদি তাইওয়ানে হামলা চালায়, তাহলে তাইওয়ানকে রক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র । প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাইওয়ানের পক্ষ অবলম্বন করে এমন মন্তব্য করেছেন টাউন হলে। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র কি তাইওয়ানকে রক্ষা করবে? এর জবাবে জো বাইডেন বলেন- হ্যাঁ, এটা করার জন্যই আমাদের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। পরে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেছেন প্রেসিডেন্ট তার নীতিতে পরিবর্তন করেননি। অন্যদিকে তাইওয়ান বলেছে, এ ইস্যুতে তাদের নিজেদের অবস্থানের পরিবর্তন ঘটাবে না। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলেছে যখনই তাইওয়ানকে সুরক্ষা দেয়ার মত কণ্টকিত ইস্যু সামনে আসে, তখনই যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন যাবত কৌশলগত অস্পষ্টতা অবলম্বন করে আসছে। তাইওয়ানকে নিজেদের একটি প্রদেশে হিসেবে গণ্য করে আসছে চীন। একই সঙ্গে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানকে যুক্ত করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে চীন।
বলেছে, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে শক্তি প্রয়োগ করে তাইওয়ানকে চীনের সাথে যুক্ত করা হবে। কিন্তু তাইওয়ান নিজেদেরকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে আসছে। এখানে আরো উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, তাইওয়ানের সাথে কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু তারা তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে থাকে। এটা করা হয় তাইওয়ান রিলেশন্স অ্যাক্ট- এর অধীনে। এতে বলা হয়েছে তাইওয়ানকে তার আত্মরক্ষায় সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জাভিয়ের চেং বলেছেন, তাইওয়ান তার নিজের আত্মরক্ষা নিশ্চিত করবে। তবে তাইওয়ানকে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। কিছুদিন ধরে চীন এবং তাইওয়ান এর মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশ-প্রতিরক্ষা জোনে চীনের কমপক্ষে ১৫০ টি যুদ্ধবিমান মহড়া দিয়েছে। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র থেকে তীব্র হয়ে উঠেছে। এসব প্রেক্ষিতে টাউনহল আলোচনা হয়। সেখানে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, চীনের সঙ্গে ইচ্ছাকৃত একটি যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় যুক্তরাষ্ট্র। চীন অধিক শক্তিশালী কিনা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ চীন, রাশিয়া এবং বাকি বিশ্ব জানে বিশ্বের সামরিক ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী কোন দেশ।
সিএনএন-এর অ্যান্ডারসন কুপার প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে দ্বিতীয় প্রশ্ন করেন এবং জানতে চান তাইওয়ানে আক্রমণ করলেএ দেশ থেকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে যাবে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন আবারো ইতিবাচক উত্তর দেন ।