× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সংবাদ সম্মেলন /নানুয়া দীঘির পাড়ের মণ্ডপে কেন বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল?

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(২ বছর আগে) অক্টোবর ২২, ২০২১, শুক্রবার, ২:১৮ অপরাহ্ন

কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড়ের দুর্গাপূজার মণ্ডপে সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে কিছু প্রশ্ন করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। আজ শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নগুলো তুলে ধরে সংগঠনটি।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ‘শারদীয় দুর্গাপূজার সময় সারা দেশের পূজামণ্ডপে সাম্প্রদায়িক শক্তির হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী।
লিখিত বক্তব্যে নির্মল কুমার চ্যাটার্জী বলেন, কুমিল্লার নানুয়া দীঘিরপাড়ের মণ্ডপটি অস্থায়ী। ওই দিন দিবাগত রাত তিনটা থেকে চারটার দিকে কিছু সময়ের জন্য মণ্ডপ এলাকা বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কী কারণে কিছু সময়ের জন্য মণ্ডপ বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল, সে বিষয়গুলো তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে কি না।

দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হনুমান মূর্তির কোলের ওপর রাখা পবিত্র কোরআন শরীফটি সরিয়ে নেওয়ার পর কেন ভিডিও করার সুযোগ দিলেন এবং কেন সে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তা সবার কাছে বিরাট প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে।
নির্মল চ্যাটার্জী আরও বলেন, দুর্গাপূজার আগে ৪ঠা অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ৬ই অক্টোবর ডিএমপি কমিশনার, পুলিশের মহাপরিদর্শকের সঙ্গে আমাদের মতবিনিময় হয়। প্রতিটি সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকে স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে মতামত দিয়েছেন প্রতিটি সভায় নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল।
বক্তব্যে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামু থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিগত কয়েক বছর ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বা হচ্ছে। কোনো কোনো হামলার ক্ষেত্রে সর্বদলীয় অংশগ্রহণের ঘটনা ঘটেছে।
দেশে আইন আছে। প্রকৃতই কোনো ব্যক্তি, সে যে ধর্মেরই হোক না কেন, এ ধরনের ন্যক্কারজনক অপরাধ করলে তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে না দিয়ে একজনের কথিত অপরাধে একটি সম্প্রদায়ের ওপর হামলা প্রকারান্তরে এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে দেশান্তরি করার নীলনকশার অংশ বলে সাধারণ হিন্দুরা মনে করে। বিচারহীনতা বা বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি দুষ্কৃতকারীদের উৎসাহিত করছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক দোষারোপের কারণে প্রকৃত দোষীরা পার পেয়ে যাচ্ছে, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা ও পারস্পরিক আস্থার জন্য সুখকর নয়। সাম্প্রতিক হামলায় সম্পদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের পূর্ণ নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য কয়েকটি দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। ক্ষতিগ্রস্ত সব মন্দির, বাড়িঘর সরকারি খরচে নির্মাণের দাবি করা হয়। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে দাবি করা হয়।
আগামী ৪ঠা নভেম্বর হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উৎসব। সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই পূজার কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এবারের শ্যামাপূজা দীপাবলি উৎসব বর্জন করার ঘোষণা দেন নির্মল চ্যাটার্জী। তবে প্রতিমা পূজা করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সাবেক সভাপতি কাজল দেবনাথ, উপদেষ্টা জয়ন্ত সেন, মহানগর কমিটির সভাপতি শৈলেন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক কিশোর মণ্ডল প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর