× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জীবাশ্ম জ্বালানি: জাতিসংঘের রিপোর্ট বদলে দেয়ার চেষ্টা করছে প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) অক্টোবর ২২, ২০২১, শুক্রবার, ৫:১১ অপরাহ্ন

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার নিয়ে জাতিসংঘের রিপোর্ট বদলে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে কয়েকটি রাষ্ট্র। এ সংক্রান্ত ফাঁস হওয়া নথি এসেছে বৃটিশ গণমাধ্যম বিবিসির হাতে। এতে দেখা যাচ্ছে, ভারত, সৌদি আরব, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রভাবশালী কিছু রাষ্ট্র এই রিপোর্ট বদলে দেয়ার চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত। দেশগুলো জাতিসংঘকে বলছে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে দ্রুত সরে আসার প্রয়োজনীয়তাকে কম গুরুত্ব দিয়ে দেখাতে।

বিশ্বকে উষ্ণতার হাত থেকে বাঁচাতে জাতিসংঘ কয়লা, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার উপর জোর দিচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক সংস্থাটির গুরুত্বপূর্ণ এই বৈজ্ঞানিক রিপোর্ট বদলে দেয়ার চেষ্টা করছে জীবাশ্ম জ্বালানির উপরে নির্ভরশীল রাষ্ট্রগুলো। বিবিসির খবরে বলা হয়, জীবাশ্ম জ্বালানি গ্রিনহাউজ গ্যাসের প্রধান উৎস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঠেকাতে এসব জ্বালানির ব্যবহারের লাগাম টেনে ধরা খুবই জরুরি। আগামী নভেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘের কপ-২৬ সম্মেলনের আগে এ সংক্রান্ত প্রচুর কাগজপত্র ফাঁস হয়ে গেছে।

বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা যাতে শিল্পযুগের আগের সময়ের তাপমাত্রার তুলনায় দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়তে না পারে, সেজন্য কপ-২৬ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কর্মসূচি গ্রহণের কথা রয়েছে। তার ঠিক কয়েকদিন আগে এসব ডকুমেন্ট ফাঁস হয়ে গেছে। এতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ জাতিসংঘের উপর চাপ দেয়ার চেষ্টা করছে যাতে সংস্থাটি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপারে এখনই কঠোর অবস্থান গ্রহণ না করে।

জাতিসংঘের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। আসন্ন গ্লাসগো সম্মেলনে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে দরকষাকষির আলোচনায় জাতিসংঘের সবশেষ এই রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতিসংঘ আশা করছে, এসব রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের সকল দেশের সরকার সমঝোতায় পৌঁছানোর প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে।

ফাঁস হয়ে যাওয়া এসব কাগজপত্রে দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু দেশ এবং সংস্থা যুক্তি দিচ্ছে যে জাতিসংঘের রিপোর্টে যতো দ্রুত গতিতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার কথা বলা হচ্ছে, আসলে তার কোন প্রয়োজন নেই। সৌদি আরবের তেল মন্ত্রণালয়ের একজন উপদেষ্টা দাবি করেছেন, রিপোর্ট থেকে 'সর্বস্তরে জরুরি-ভিত্তিতে ত্বরিত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন'- এ ধরনের কথা বাদ দিতে হবে। আবার অস্ট্রেলিয়া বলছে, 'কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া প্রয়োজন'- এ ধরনের উপসংহার দেয়া যাবে না। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের টেকসই উন্নয়নের জন্য কয়লাভিত্তিক শক্তি উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই। আগামি কয়েক দশক কয়লাই থাকছে তাদের শক্তি উৎপাদনের প্রধান উৎস।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর