× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বৃটেনে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ডেল্টা প্লাস’

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) অক্টোবর ২৩, ২০২১, শনিবার, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়েও বেশি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেছেন বৃটিশ বিজ্ঞানীরা। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘ডেল্টা প্লাস’ অথবা এওয়াই.৪.২। ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ) একে ‘ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার ইনভেস্টিগেশন’ ক্যাটেগরিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট ভয়াবহ অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে কিনা- সে বিষয়ে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে আরো বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা আস্থাশীল যে, বিদ্যমান টিকাগুলোই এ ভ্যারিয়েন্ট থেকে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে পারবে। যদিও বৃটেনে এখন সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন নিয়মিত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে, তবু ডেল্টা প্লাসে আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ সরকারি ডাটা অনুযায়ী, বর্তমানে যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে শতকরা ৬ ভাগ ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে যেসব করোনার টিকা আছে, তাকে এই ভ্যারিয়েন্ট এড়িয়ে যেতে পারবে বলে মনে হয় না। কর্মকর্তারা বলছেন, শুরুতেই কিছু তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সে অনুযায়ী বলা যায়, শুধু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের হার বৃটেনে বৃদ্ধি পেতে পারে। এই প্রবণতা সম্প্রতি বৃটেনে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কথা বলেছে ইউকেএইচএসএ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মতো এই ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না।
বিশ্বজুড়ে কয়েক হাজার ভ্যারিয়েন্ট আছে। বিভিন্ন দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিটি সময় ভাইরাস তার রূপ পাল্টায়। অর্থাৎ রূপান্তরিত হয়। ফলে নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব বিস্ময়কর নয়। এর মধ্যে এওয়াই.৪.২ একটি। এটি প্রোটিন স্পাইকের ওপর প্রভাব ফেলা একটি রূপান্তর। স্পাইক প্রোটিন দিয়ে ভাইরাস আমাদের কোষের ভিতরে প্রবেশ করে।
ওয়াই১৩৪এইচ এবং এ২২২ভি রূপান্তর পাওয়া গেছে বিভিন্ন রকম করোনা ভাইরাসের রূপান্তরে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কিছু ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। ডেনমার্কেও শনাক্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, বৃটেনে আসন্ন শীতকে সামনে রেখে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। তবে করোনা মহামারি সৃষ্টিকারী ভাইরাসের বিদ্যমান কোনো ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য কোনো টিকার আধুনিকায়ন করার পরামর্শ দেয়া হয়নি। ইউকেএইচএসএ’র প্রধান নির্বাহী ড. জেনি হ্যারিস বলেছেন, এ অবস্থায় জনগণের জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ বর্তমান ভ্যারিয়েন্টগুলোর জন্য যা, তা-ই। টিকা নিন এবং যারা বৈধ, তারা বুস্টার ডোজ নেয়ার জন্য এগিয়ে আসুন। সতর্ক থাকুন। জনাকীর্ণ স্থানে মাস্ক পরুন। ইনডোরে মিটিং করার সময় মাস্ক পরুন। আপনার রুমের জানালা ও দরজা খোলা রাখুন, যাতে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে। যদি কোন লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে পিসিআর টেস্ট করান। যতক্ষণ পর্যন্ত রিপোর্ট নেগেটিভ না আসবে ততক্ষণ আইসোলেশনে থাকুন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর