× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চুল কর্তনকারী শিক্ষিকার বিষয়ে রবির গড়িমসি, ফের অনশনে শিক্ষার্থীরা

বাংলারজমিন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
২৩ অক্টোবর ২০২১, শনিবার

শিক্ষিকা ফারহানার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ছাড়াই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠক মুলতবি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে রবির ঢাকা অফিসে এ বৈঠক শুরু হয়। টানা ৩ ঘন্টা বৈঠক চলার পর কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ বৈঠক শেষ হয়। বৈঠক শেষে রবির দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফ ও রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী মোবাইল ফোনে শাহজাদপুরের কান্দাপাড়ার প্রশাসনিক ভবনের সামনে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের বিষয়টি অবহিত করেন। এরপরই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জরুরি সভা করে আবারও আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তারা রাত ৮টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত অনশন ও লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট শুরুর ঘোষণা দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে শাহজাদপুরের কান্দাপাড়ার প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশন ও বিসিক বাসস্ট্যান্ড এলাকার শাহজাদপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি শুরু করেন। এ ঘটনায় আবারও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে রবির দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এরপর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা অফিসে সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকেন। যথা সময়ে এ বৈঠক শুরু হলেও কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠকটি মুলতবি হয়ে যায়। এর পরপরই শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলনের ডাক দেয়।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন গত ২৬ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় ওই বিভাগের প্রথম বর্ষের ১৪ ছাত্রের মাথার চুল কাচি দিয়ে কেটে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। চুলকেটে দেওয়ার এ অপমান সইতে না পেরে এক ছাত্র ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও শিক্ষিকা ফারহানার অপসারণ দাবিতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করে। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের মুখে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করে ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের বদন্ত কমিটি গঠন করে। এরপর তদন্ত কমিটির কাছে নির্যাতিত ছাত্র, প্রত্যক্ষদর্শী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সাক্ষ্য দিলেও শিক্ষিকা ফারহানা সাক্ষ্য না দিয়ে ২ সপ্তাহের সময় প্রার্থনা করেন। তদন্ত কমিটি প্রথমে ৩ দিন, পরে আরও ৬ দিন ও সব শেষে ১৪ দিন সময় দেন। এ সময়ের শেষ দিন বৃহস্পতিবারও তিনি সাক্ষ্য দিতে আসেননি। ফলে তাকে আর সময় না দিয়ে তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে শামীম হোসেন মানবজমিনকে বলেন, শুক্রবারের সিন্ডিকেট বৈঠকে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের স্থায়ীভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হওয়া আশা করেছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে আমাদের পরীক্ষার হলে ফিরে যেতে বলেন। আমরা তাদের এ আদেশ গ্রহণ না করে শিক্ষিকা ফারহানার স্থায়ী বরখাস্ত না হওয়া পর্যন্ত আবারও আন্দোলন শুরু করেছি।
এ বিষয়ে জানতে রবির দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী বলেন, শুক্রবার সিন্ডিকেট সবায় কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। কিছু মতাভেদের কারণে পরবর্তীতে আবার বৈঠক হবে। এখন আবার ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করেছে বলে শুনেছি। তবে শনিবার সকাল ১১ টা থেকে শিক্ষার্থীরা আবার আন্দোলন শুরু করেন বলে শিক্ষার্থী আবু জাফর জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর