× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পীরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলার নেপথ্যে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব: র‌্যাব

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(২ বছর আগে) অক্টোবর ২৩, ২০২১, শনিবার, ৩:৪৭ অপরাহ্ন

রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগে সৈকত মণ্ডল (২৪) নামে এক শিক্ষার্থী নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব। সৈকত ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক মন্তব্য এবং মিথ্যা পোস্ট দিয়ে গুজব ছড়িয়ে স্থানীয় লোকজনকে উত্তেজিত করেন বলে জানায় র‌্যাব। একইসঙ্গে ঘটনার দিন একটি মসজিদের মাইক দিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে স্থানীয় লোকজনকে জড়ো করেন তার সহযোগী রবিউল ইসলাম (৩৬)। হামলার পেছনে স্থানীয় দুই তরুণের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব এবং এর জের ধরেই ধর্ম নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটে বলেও জানিয়েছে র‌্যাব। আজ শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, সৈকতের বাবার নাম মো. রাশেদুল হক। তার বাড়ি পীরগঞ্জে। আর রবিউলের বাবার নাম মো. মোসলেম উদ্দীন। তার বাড়িও পীরগঞ্জে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার গাজীপুরের টঙ্গী থেকে সৈকত মণ্ডল ও রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর দু’জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, পীরগঞ্জের বড়করিমপুরে পরিতোষ সরকার ও উজ্জ্বল নামের দুই তরুণের মধ্যে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ছিল। এর জের ধরে পরিতোষের ধর্ম নিয়ে উজ্জ্বল কটূক্তি করেন। পরে পরিতোষ ফেসবুক মেসেঞ্জারে উজ্জ্বলের ধর্ম নিয়ে পাল্টা মন্তব্য করেন। পরিতোষের ওই মন্তব্য ফেসবুকে পোস্ট করেন উজ্জ্বল। উজ্জ্বলের ওই পোস্ট সৈকত আবার তার নিজের ফেসবুক পেজে ছড়িয়ে দেন বলে জানান খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনার পর থেকেই সৈকত নানা উসকানিমূলক পোস্ট দিচ্ছিলেন। পরিতোষ ও উজ্জ্বলের দ্বন্দ্বের ঘটনাকে সুযোগ হিসেবে নিয়েছিলেন সৈকত। তার একটি ফেসবুক পেজ আছে। সেখানে তার প্রায় তিন হাজার অনুসারী রয়েছে।

খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে একটি ‘দুর্বল সময়ের’ জন্য অপেক্ষা করছিলেন সৈকত। পরিতোষের বার্তাকে কেন্দ্র করে সৈকত উসকানি ছড়ানোর পাশাপাশি নেতৃত্ব দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সৈকতের পেছনে কেউ ছিলেন কি না, সে বিষয়ে র‌্যাব কিছু বলেনি। এছাড়া সৈকতের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে র‌্যাব। খন্দকার আল মঈন বলেন, সৈকত জানিয়েছেন, তিনি রংপুরের একটি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে নিজে থেকে প্রচার করে থাকতে পারেন। তবে এসংক্রান্ত কোনো তথ্যপ্রমাণ তিনি দিতে পারেননি। সৈকত বিভিন্ন সময় ফেসবুকে নিজের সম্পর্কে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছেন। কোনো কোনো সময় তিনি নিজেকে ছাত্রনেতা দাবি করেছেন। বিভিন্ন দলের কর্মী হিসেবেও নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন। তবে এসংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর