× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটের হাসান মার্কেট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতবিনিময়

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৪ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. মোমেন বলেছেন, ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমি বদ্ধপরিকর। হাসান মার্কেটের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নামকরণ করার জন্য ব্যবসায়ীরা ইচ্ছুক জেনে আমি খুব আনন্দিত হয়েছি। ব্যবসায়ীরা সব সময় দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণে ভূমিকা রাখছেন তা প্রশংসনীয়। দ্বি-পাক্ষীয় চুক্তির আলোকে হাসান মার্কেটের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন হবে বলে মন্ত্রী আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি ধোপাদীঘিরপাড়স্থ নিজ বাসভবনে হাসান মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এ সময় সমিতির নেতৃবৃন্দ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. মোমেনের হাতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন অধীনস্থ ঐতিহ্যবাহী হাসান মার্কেট সার্বিক বিষয় বৃত্তান্ত ও সার্বিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন হাসান মার্কেট সিলেট শহরের প্রাণকেন্দ্র বন্দরবাজার জনগুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা অবস্থিত। ১৯৪৯ইং হাসান মার্কেট নির্মাণ করা হয়।
মার্কেট দোকানসমূহ ২০ বছর মেয়াদ পুণঃনবায়ন শর্তে আরও ২০ বছর মোট ৪০ বছরের জন্য তৎকালীন সিলেট জেলা ডেপুটি কমিশনার লিজ বন্দোবস্তের মাধ্যমে দোকানকোঠা বরাদ্দ দেন। বিগত ১৯৯৯ইং সনে লিজের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান মরহুম বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ইজারা চুক্তির মাধ্যমে ১৫ বছরের জন্য মার্কেটের লিজ নবায়ন করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ইং সনে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব ১৫ বছরের জন্য ২০২৯ইং পর্যন্ত দোকানকোঠা লিজ নবায়ন করেন। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, হাসান মার্কেট উন্নয়কল্পে সিলেট পৌরসভা পৃথক বিগত দিনের প্রস্তাব অংশ বিশেষ ১৯৮৬ সালে তৎকালীন সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান মরহুম আফম কামাল এডভোকেটের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ এবং পৌর কর্তৃপক্ষের মধ্যে উন্নয়ন সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। মার্কেট উন্নয়ন বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় হাসান মার্কেট ভেঙে চারতলা ভিত্তিযুক্ত মার্কেট নির্মাণ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে হাসান মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বিগত ১৯৯২ সনে ও মাসিক সাধারণ সভায় সংশোধিত তৎসংক্রান্ত বিষয়, শর্তাবলী বিস্তারিতভাবে আলোচনা ও পর্যালোচনা করা হয়। বন্দরবাজারস্থ হাসান মার্কেটের স্থলে নতুনভাবে চারতলা ভিত্তিযুক্ত মার্কেট নির্মাণের সর্বসমিতি প্রস্তাব সভায় আলোচনাক্রমে অনুমোদন করা হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয় সিলেট পৌরসভা থাকালীন ২০১৯ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত হাসান মার্কেট প্রায় ২ কোটি টাকা সিটি কর্পোরেশনের তহবিলে জমা দিয়েছে হাসান মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতি। যার বর্তমানে লাভসহ ২০ কোটি টাকার সমপরিমাণ হবে। স্মারকলিপি প্রদান শেষে মতবিনিময়কালে হাসান মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. রইছ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো. আজিজুল করিমের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আহমদ আফজল সিরাজ পাভেল, সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন সুহেল, কোষাধ্যক্ষ হাজী বেলাল আহমদ, মো. আলী আকিক, লোকমান হোসেন ইমরান, আমিনুর রহমান খছরু, সেলিম আহমদ, দেওয়ান আকদ্দছ খান, সদস্য- শরীফ হোসেন, আজমল হোসেন চৌধুরী, শামসুল আলম সিদ্দিকী, দুলাল মৃধা, জুবায়ের আহমদ, ডা. রাজ নারায়ণ চৌধুরী চয়ন, আব্দুল আলীম বাবু প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর