× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাছের সঙ্গে শত্রুতা

বাংলারজমিন

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২৪ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

দশমিনায় এক মাছ ব্যবসায়ীর পুকুরে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় লাখ টাকা। উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামে গত শুক্রবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের মো. এছাহাক মৃধার মালিকানা পুকুরে বিষ প্রয়োগের ফলে মাছ মরে ভেসে উঠতে শুরু করে। প্রকাশ্যে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরেছে দুর্বৃত্তরা। মাছ নিধন করেছে এমন চিৎকার শুনে পুকুর পাড়ে গিয়ে প্রায় ৯০ হাজার টাকার দেশীয় প্রজাতির মাছ মরে ভেসে আছে দেখতে পান স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী মো. এছাহাক মৃধার স্ত্রী মোসা. পারভিন বেগম বলেন, আমি নিজের চোখে দেখেছি মো. ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধা পুকুর পাড়ে বিষের বোতল নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল।  আমারে দেখে পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয়। তার কিছুক্ষণ পর পুকুরের মাছ মরে ভাইসা উঠতে থাকে। আমরা এখন কী খাবো কী করবো আর কই যাবো আমাগো না খাইয়া মরতে হবে।
ভুক্তভোগী মো. এছাহাক মৃধা বলেন, পারিবারিক বিরোধের কারণে মো. ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধারা আমার চাষের পুকুরে বিষ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১ লাখ টাকার মাছ মেরেছে। এমনকি তারা এর পূর্বেও দুইবার আমার চাষের অন্য পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে তারা এলাকা ছাড়তে হুমকিও দিয়ে আসছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় প্রজাতির মাছের রেণু পোনার ব্যবসা করে আসছি। আমার ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিচারের দাবি জানাই। এ বিষয়ে ফারুক মৃধা জানান, আমাদের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। আমাদের ফাঁসাতে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
দশমিনা থানা ওসি মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে তবে ভুক্তভোগী পরিবার সঠিকভাবে কে বা কাহার পুকুরে বিষ দিয়েছে তা বলতে পারেনি। তবে তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর