× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ছাটকড়াইবাড়ি-ঝগড়ারচর বেড়িবাঁধে ২০ গ্রামের ভোগান্তি

বাংলারজমিন

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
২৪ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

 রৌমারীর ছাটকড়াইবাড়ি-ঝগড়ারচর বেড়িবাঁধটি বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ২০ গ্রামের। দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। বন্যার পানিতে প্রতি বছর প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়। যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ। সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে হাটবাজারে যাতায়াত করছে। এতকিছুর পরও বাঁধটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, রৌমারী উপজেলাধীন দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ছাটকড়াইবাড়ী থেকে ঝগড়ারচর ডিসি সড়ক পর্যন্ত  ক্ষুদ্র পানি সম্পদের সোয়া ৬ কি.মি. বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে কয়েক বছর আগে। প্রতিবছর বন্যার পানির স্রোতে বিভিন্ন স্থানে খাদের সৃষ্টি হয়।
২০১৯ সালে বন্যার পানির তীব্র স্রোতে বাঁধটি ভেঙে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে গভীর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় আওয়াল মেম্বার, নজরুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, পাপু মিয়া, নুর মোহাম্মদ, জেসমিন আক্তার, আব্দুল বাতেন, আয়নাল হক, আবুল হাশেম, মোত্তালিব, আবদুল হাকিম, মতিয়ার রহমান ও সাখাওয়াত হোসেন জানান, বাঁধটির পূর্ব পাশে প্রায় ৩শ’ মিটার ভেঙে জিঞ্জিরাম নদীতে চলে যায়। এর মধ্যে ৪টি ভাঙা স্থানে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে জনসাধারণ। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বিজিবির সদস্যদের টহল কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে চোরাচালান রোধে নানা জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা কষ্টার্জিত সোনার ফসল সর্বনাশা পাহাড়ি ঢলে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির ফসল বিলীন হয়ে যায় প্রতি বছর। মানবেতর জীবনযাপন করে কৃষক পরিবার। বাঁধটি না থাকায় ওই অঞ্চলের কৃষকের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। বেড়িবাঁধটি নির্মাণের পর থেকেই ওই সীমান্ত এলাকার মানুষ সড়ক পথে অটোভ্যান, রিকশা, অটোবাইক, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল দিয়ে সহজে স্বল্প সময়ে হাটবাজার ও অফিস আদালতে যাতায়াত করতো। কিন্তু এখন তা আর সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও উপ-সহকারী আমিনুল ইসলাম কাজল জানান, ওই ব্লকে ১ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে ফসল উৎপাদন হয়। বন্যার পানিতে প্রতিবছর ফসল নষ্ট হচ্ছে। তাই বেড়িবাঁধটি সংস্কার করা খুবই জরুরি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. মেজবাহ উল বলেন, বোয়ালমারী ও ঝগড়ারচর বেড়িবাঁধটি সরজমিন পরিদর্শনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আসতে চেয়েছেন। তবে বাঁধটির অবস্থা খুবই খারাপ। ওরৗমারীতে ক্ষুদ্র পানি সম্পদের বেশ কয়েকটি বেড়িবাঁধ রয়েছে। তার মধ্যে এই বাঁধটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় বরাদ্দের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান জানান, এলাকাবাসী আবেদন দিলে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর