নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত শুক্রবার সকালে চিপস কিনে দেয়ার কথা বলে ৪র্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ গতকাল দুপুরে অভিযুক্ত প্রধান আসামিকে আটক করে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভক্তবাড়ি এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। নিহত শিক্ষার্থীর মা পারুল বেগম জানান, তিনি রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ভক্তবাড়ি এলাকার সেলিম মিয়ার স্ত্রী। গত শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে তার দুঃসম্পর্কের চাচা কাঞ্চন ও পৌরসভার কেন্দুয়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোশারফ হোসেন তাদের বাড়িতে আসেন। তাকে সকালের নাস্তা খাওয়ানোর জন্য বললে সে ঘরের ভেতর গিয়ে বসে। তখন তিনি খাবার রান্না করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ সময় মোশারফ হোসেন তার মেয়ে স্থানীয় মধুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তারকে (৯) দোকান থেকে চিপস কিনে দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার নিখোঁজ।
বহু খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে রাতে শিক্ষার্থীর মা পারুল বেগম রূপগঞ্জ থানায় অপহরণের অভিযোগ এনে মোশারফসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভক্তবাড়ি এলাকায় মোশারফকে ঘুরতে দেখে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পুলিশ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে কাশবনের ভেতরে নির্জন স্থানে ফেলে রেখেছে বলে স্বীকার করে। পরে তার দেখা মতে বিকালে জাঙ্গীর এলাকায় আনন্দ পুলিশ হাউজিং নামক আবাসন কোম্পানির ভেতর কাশবন থেকে শিক্ষার্থী সামিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদিকে এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে রূপগঞ্জ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ঘাতক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।