× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দাকোপের খলিশা বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাটল, আতঙ্ক

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৪ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

খুলনার দাকোপের চালনা পৌরসভার খলিশা স্লুইস গেটের দক্ষিণ পাশে ২শত ৫০ মিটার পাউবো’র বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাটল ও রাতে বাঁধটি হঠাৎ ৩ ফুট ধসে যাওয়ায় সমগ্র পৌরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ বাঁধটির পাশ দিয়ে দ্রুত বিকল্প বাঁধ নির্মাণ না করা হলে যেকোনো মুহূর্তে বাঁধটি পশুর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গোটা পৌরসভা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভয়াবহ এ নদী ভাঙনের পাশে বসবাসকারী অনেকে তাদের ঘরবাড়ি ও স্থাপনা অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চালনা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বড় খলিশা গ্রামে ২১শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে পাউবো’র ২শত ৫০ মিটার (সিসি ব্লক) বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাটল ও বাঁধটি ৩ ফুট ধসে গেছে। এ বাঁধটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় পৌরবাসী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এ বাঁধটি নদীগর্ভে বিলীন হলে চালনা পৌরসভার ৯টি গ্রামসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও কয়েক হাজার ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া একের পর এক নদী ভাঙনের কবলে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় রয়েছে খুলনার উপকূলীয় দাকোপের ৩১নং পোল্ডারের কয়েক হাজার পরিবারের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। অত্র পোল্ডারের চালনা পৌরসভার গোড়কাঠি, খলিশাসহ পানখালী ইউনিয়নর খোনা, পানখালী ফেরীঘাটের পূর্ব পাশে, পানখালী জাবেরের খেয়াঘাটের পাশে, লক্ষ্মীখোলা পিচের মাথা, তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া, ঝালবুনিয়া, কামিনী বাসিয়া গ্রামে ওয়াপদা বেড়িবাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।  বাঁধগুলি দ্রুত সংস্কার করা না হলে আবারো আইলার  মতো মহাবিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
চালনা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শুভঙ্কর রায় বলেন, খলিশা স্লুইস গেটের দক্ষিণ পাশে কয়েকদিন পূর্বে ৫০ মিটার এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা দেয়। তা সংস্কারের জন্য পাউবো’র কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
কিন্তু ঠিকাদাররা ওই স্থানে এখনো পর্যন্ত কাজ শুরু না করায় গতকাল হঠাৎ বিশাল এলাকা নিয়ে বাঁধটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি ঘটনাস্থল শুক্রবার সকালে পরিদর্শন করেছি, বৃহস্পতিবার রাতে খলিশা গ্রামের স্লুইস গেটের দক্ষিণ পাশে সিসি ব্লক পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ বাঁধটি ভয়াবহ ফাটল ও হঠাৎ ৩ থেকে সাড়ে ৩ ফুট ধসে যায়। এ বাঁধটির পাশ দিয়ে যদি দ্রুত বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করা না হয় তাহলে পশুর নদীগর্ভে যেকোনো মুহূর্তে বাঁধটি বিলীন হয়ে গোটা পৌরসভা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর