ঢাকা থেকে মাসকাটের বিমান ধরার আগে বাংলাদেশ ছক কষেছিল ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও প্রথম পর্ব পেরিয়ে আসা একটি দলের বিপক্ষে খেলার। সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের পাঁচ প্রতিপক্ষই টেস্ট খেলুড়ে দেশ। নতুন করে ছক কষতে হবে মাহমুদুল্লাহ-সাকিবদের। শুরুটা নড়বড়ে হলেও পরের ম্যাচগুলোয় ভালো করার তাড়না টাইগার ড্রেসিংরুমে। উন্নতি করতে হবে ব্যাটিংয়ে। যেখানে মেলাতে হবে ডট বলের অঙ্ক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেক পরিবর্র্তনের একটি ‘ডট বল কম খেলা’। এই জায়গাতেই ব্যর্থতার গন্ডি থেকে বেরোতে পারছে না বাংলাদেশ।
স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ব্যাটিং ব্যর্থতার অন্যতম কারণ এই ডট বল। বাংলাদেশের ব্যাটাররা স্কটিশদের বিপক্ষে ৩৫ বলে কোনো রান নিতে পারেননি। পাওয়ার প্লে কাজে না লাগাতে পারার রহস্য লুকিয়ে আছে ওই ডট বলে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা পাওয়ার প্লের ৩৬ বলের অর্ধেক বলে রান করতে পারেননি। স্কটিশদের বিপক্ষে শেষদিকে নেমে শেখ মেহেদি ৫ বলে ১৩ রান করলেও থেকে যায় ৬ রানের ব্যবধান। ওমানের বিপক্ষেও ডট বল ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। এই ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংস দেড়শ পেরোলেও ৩৮টি ডট বল করেছেন ওমানের বোলাররা। এই ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে ২০ বলে রান করতে ব্যর্থ বাংলাদেশ ব্যাটাররা। শক্তি-সামর্থ্যে অনেক পিছিয়ে থাকা পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে অবশ্য ডট বল ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত মিলেছে। এই ম্যাচে ২১টি ডট বল করেন পাপুয়া নিউগিনির বোলাররা। প্রথম পর্বে বাংলাদেশ ব্যাটারদের খেলতে হয়ে তুলনামূলক অনভিজ্ঞ বোলারদের বিপক্ষে। বিশ্বমানের বোলারদের বিপক্ষে ভালো করতে ডট বলের অঙ্ক মেলাতে হবে বাংলাদেশ ব্যাটারদের।