× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পিয়াজের জ্বালায় আমি অস্থির হয়ে পড়েছি: বাণিজ্যমন্ত্রী

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(২ বছর আগে) অক্টোবর ২৪, ২০২১, রবিবার, ৭:৪০ অপরাহ্ন

খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও ভোগের সঠিক পরিসংখ্যানের অভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, এফএও বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট ডি সিম্পসন এবং ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন স্টিভেন্স প্রমুখ। কৃষি মন্ত্রণালয় সঠিক তথ্য দেয় না বলে অভিযোগ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আর এ কারণে অনেক সময় খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও ভোগের সঠিক পরিসংখ্যানের অভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানান তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী তার অভিযোগের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, পিয়াজের কথা ধরেন। পিয়াজের জ্বালায়ই আমি অস্থির হয়ে পড়েছি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে আমাদের দেশে পিয়াজ উৎপাদন হয় ২৫ থেকে ২৬ লাখ টন।
বছরে আমাদের প্রয়োজন ২৪ থেকে ২৫ লাখ টন টন। যদি এই হয়, তাহলে আমদানি কেন? এমন প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে বক্তব্য হচ্ছে প্রায় ২০ শতাংশ পিয়াজ আমাদের নষ্ট হয়। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকেই আমাদের পিয়াজ কমতে থাকে। তখন ভারত থেকে আনতে হয়। এ ক্ষেত্রে ভারতের উপর আমরা ৯০ শতাংশ নির্ভরশীল। ভারত বন্ধ করে দিলে অথবা দাম বাড়ালে এর প্রভাব বাজারে পড়ে। কৃষিবিদদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা পিয়াজের এমন বীজ আনেন যাতে সেপ্টেম্বর অক্টোবরে আমরা পিয়াজ পাই। উৎপাদন বাড়ানো গেলে, নষ্ট কমলে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে পিয়াজের বাজারে কোনো সমস্যা হবে না। পণ্যের মজুত ও চাহিদা সম্পর্কে কৃষি মন্ত্রণালয় সঠিক তথ্য দেয় না জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছর কৃষি মন্ত্রণালয় হিসাব দিলো ১ কোটি ৫ লাখ টনের মতো আলু উৎপাদন হবে। আর আমরা ৭০-৭৫ লাখ টন আলু খাই। তার মানে আলু সারপ্লাস থাকবে। কিন্তু গত বছরের বাজারের চিত্র কিন্তু সেটা বলে না। তিনি বলেন, গত বছর আলুর দাম ৪০ টাকায় ঠেকলো। কোল্ডস্টোরেজ থেকে বেরোতে বেরোতে আলু ৩৫-৩৬ টাকা হয়ে গেলো, আলু এক্সপোর্ট হলো না। তার মানে হিসাবে একটা গণ্ডগোল রয়েছে। হয় আলুর উৎপাদন কম হয়েছে, নয়তো আলুর চাহিদা আরও বেশি। আসলে পণ্যের মজুত ও চাহিদা সম্পর্কে কৃষি মন্ত্রণালয় সঠিক তথ্য দেয় না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর