অঘটন ঘটিয়ে সুপার টুয়েলভের টিকিট কেটেছে স্কটল্যান্ড। বাংলাদেশকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী স্কটিশরা সুপার টুয়েলভেও ‘অঘটনের’ স্বপ্ন দেখছে। তাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ আফগানিস্তান। যাদের রয়েছে বিশ্বমানের স্পিন আক্রমণ। রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবী- স্পিনত্রয়ীকে ভাবা হয় টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা স্পিন আক্রমণ। স্কটিশদের চ্যালেঞ্জ আফগান স্পিনত্রয়ীকে সামলানোর। আজ সুপার টুয়েলভের একমাত্র ম্যাচে লড়বে আফগানিস্তান-স্কটল্যান্ড।
স্কটল্যান্ডের জন্য আফগান স্পিনারদের সামলানো কঠিন করে তুলবে শারজার উইকেট। ঐতিহ্যগতভাবেই শারজার উইকেট ধীরগতির।
যেখানে সুবিধা আদায় করে নিতে পারেন স্পিনাররা। আফগানদের ১২ ওভারই করবেন রশিদ-মুজিব-নবীরা। টি-টোয়েন্টির সেরা স্পিনারদের একজন রশিদ খান। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের এক নম্বর অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। মুজিব উর রহমানও টি-টোয়েন্টিতে পরীক্ষিত। তবে দারুণ ছন্দে রয়েছেন স্কটিশ সেরা ব্যাটার রিচি বেরিংটন। তিন ম্যাচে ৫১.৫০ গড়ে করেছেন ১০৩ রান। ব্যাটিংয়ে স্কটল্যান্ডের ভরসা যোগাবেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত জর্জ মানসে। বোলিংয়েও ভারসাম্য স্কটিশদের। স্পিনার মার্ক ওয়াট-ক্রিস গ্রিভসরা রয়েছেন দারুণ ছন্দে। ইংলিশ কাউন্টিতে দীর্ঘদিন খেলা স্কটিশ পেসার জস ডেভি তিন ম্যাচে নিয়েছেন ৮ উইকেট।
বোলিংয়ে সেরা হলেও আফগানদের দুর্ভাবনা ব্যাটিং নিয়ে। অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী, আসগর আফগান ও নাজিবুল্লাহ জাদরানরা ব্যর্থ হলে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। তবে আফগানদের বড় শট খেলার সক্ষমতা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে স্কটল্যান্ডের জন্য। রশিদ খান বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে দারুণ অবদান রেখে চলেছেন। নিয়মিতই বড় শট খেলেন তিনি।
স্কটল্যান্ড চমক অব্যাহত রাখার স্বপ্ন দেখছে। দলটির বাঁহাতি স্পিনার মার্ক ওয়াট আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে অঘটন ঘটিয়েছি। তাহলে আরো কেন নয়? আমাদের জয় আছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সম্প্রতি বাংলাদেশকে হারিয়েছি।’
আত্মবিশ্বাসী স্কটিশদের থামাতে স্পিন আক্রমণই ভরসা আফগানদের। বিশ্বকাপে শুভ সূচনার জন্য আফগানদের অনুপ্রেরণার শেষ নেই। দেশে ক্ষমতার পালা-বদল ঘটায় কঠিন সময় পার করছে আফগানিস্তানের মানুষ। তাদের মুখে হাসি ফুটবে রশিদ-নবীদের জয়ে। বিশ্বকাপের আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও আফগানদের জয় আছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।