ঢাকার ধামরাইয়ে পাওনা টাকা চাওয়াতে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর করে এবং জিহবা কেটে নেয়ার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে ধামরাই থানা পুলিশ। হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা রহমত আলী (৭০)। ভুক্তভোগী মো. সাইফুর রহমান (৩২) উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ফরিঙ্গা গ্রামের মো. রহমত আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ফড়িঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলামের বাড়িতে। গতকাল আসামি ৪ জনকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। জানা গেছে, ভুক্তভোগী সাইফুর রহমানের কাছ থেকে মাঝে মধ্যেই ১নং আসামি শফিকুল ইসলাম টাকা ধার নিতেন আবার পরিশোধও করতেন। বর্তমানেও শফিকুল ইসলামের কাছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা পাওনা আছে।
২২শে অক্টোবর বিকালে ভুক্তভোগী সাইফুলের দোকানের পাশে শফিকুলের সঙ্গে তার তর্কবিতর্ক হয়। এর জের ধরে ওই দিন রাতে পাওনা টাকা দেয়ার জন্য শফিকুলের বাড়িতে ফোন করে ডেকে নেয়। পরে শফিকুলসহ তার পরিবার সাইফুরকে টাকা না দিয়ে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এর একপর্যায়ে সকলে ধরে ঘরের মেঝেতে ফেলে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বুকে, হাতে আঘাত করে এবং পা দিয়ে ধরে জিহবা বের করে পুরো জিহবার নামনের অংশ কেটে নেয়। ভুক্তভোগীর ডাকে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, সাইফুর রহমানের সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত ২নং আসামি শারমিন আক্তারের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন সাইফুর। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু বিয়ে না করায় প্রেমিকা শারমিন ক্ষিপ্ত হয়ে পরিবারের সহযোগিতায় সাইফুলের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়, একপর্যায়ে জিহবা কেটে ফেলে প্রেমিক সাইফুরের। এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক তন্ময় সাহা জানান, এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আরও ১ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।