× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চীন-রাশিয়া সদয় হলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে

শেষের পাতা

কূটনৈতিক রিপোর্টার
২৫ অক্টোবর ২০২১, সোমবার

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের আন্তরিকতার অভাবে রোহিঙ্গা ও ফিলিস্তিন সমস্যা ঝুলে আছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি খোলাসা করেই বলেন, চীন ও রাশিয়া সদয় হলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে। রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাতিসংঘ দিবস-২০২১’ উপলক্ষে এক আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ড. মোমেন বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের একজন যদি আপত্তি করে জাতিসংঘ সেখানে কিছুই করতে পারে না। তার ফলে রোহিঙ্গা সংকট এবং ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান ঝুলে যাচ্ছে। জাতিসংঘের নিজের কোনো শক্তি নেই মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, তার শক্তি হচ্ছে সদস্য রাষ্ট্র। সেই কারণে আমরা ঝুলে আছি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র হলো- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং চীন।
জাতিসংঘে কোনো বিষয়ে কোনো প্রস্তাব পাস করতে গেলে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের একমত হতে হয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবে চীন ও রাশিয়া নিয়মিতভাবে বিরোধিতা বা ভেটো দিয়ে আসছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি, রোহিঙ্গা ইস্যুকে যারা ঝুলিয়ে রেখেছেন তারা আগামীতে আরও সদয় হবেন। বিশেষ করে রাশিয়া এবং চীন। তারা সদয় হলে অবস্থার পরিবর্তন হবে- এটা নিশ্চিত। তাই আমরা আশাবাদী, আমাদের এ সমস্যার সমাধান হবে। জাতিসংঘ বাংলাদেশের অনেক প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি এমন অভিযোগ করে মন্ত্রী বলেন, তবুও জাতিসংঘের অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করবো না। জাতিসংঘ সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছে। বাংলাদেশ বরাবরই জাতিসংঘের সমর্থক। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর আমল থেকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা জাতিসংঘের বিভিন্ন কার্যক্রমে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছেন। মন্ত্রী বলেন, সেজন্য জাতিসংঘ বাংলাদেশকে নিয়ে গর্বিত। বাংলাদেশও জাতিসংঘকে নিয়ে গর্বিত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের কৃতীত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, কিন্তু আমরা এখনও জাতিসংঘের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে যেতে পারিনি। আমরা ১৯৮৬ সালে সাধারণ অধিবেশনে সভাপতি ছিলাম। আগামী ২০২৬ সালে ফের বাংলাদেশ সভাপতি প্রার্থী। মন্ত্রী মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ফরেন পলিসির কারণে আমরা আন্তর্জাতিক নির্বাচনগুলোয় আমাদের জয় সহজ হয়। ২০২৬ সালের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, হাজার বছর ধরে এ অঞ্চলের হিন্দু-মুসলমানরা সমপ্রীতির সঙ্গে বসবাস করছে। তবে এখন সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি বিনষ্টের গভীর চক্রান্ত চলছে। এ চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। এতে আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকাবাসীর সভাপতি শুকুর সালেক প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর