× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক হতে পারে, বৃটেনে এখনই বিধিনিষেধ নয়

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) অক্টোবর ২৫, ২০২১, সোমবার, ১:৪৮ অপরাহ্ন

বৃটেনে স্বাস্থ্য বিভাগের (এনএইচএস) স্টাফদের করোনা ভাইরাসের টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে নতুন করে বিধিনিষেধ বা প্লান-বি প্রয়োগের দাবি উঠলেও তিনি তা উপেক্ষা করেছেন। বলেছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আর কোন করোনা ভাইরাস বিষয়ক বিধিনিষেধ দেয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি আশা প্রকাশ করেন, জনগণ স্বাভাবিক অবস্থায় একটি বড়দিন পালন করতে পারবেন। ওদিকে এনএইচএসের মেডিকেল ডিরেক্টর স্টিফেন পাওয়িস জনগণকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। বলেছেন, এ সপ্তাহে আরো ২০ লাখ বুস্টার ডোজ চেয়ে আবেদন পাঠিয়েছে এনএইচএস। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এনএইচএস ইংল্যান্ড বলেছে, গত মাসে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়। তারপর এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০ লাখ মানুষ এই ডোজ নিয়েছেন।
সরকার ঘোষণা দিয়েছে, এ সপ্তাহের বাজেটে অতিরিক্ত ৫৯০ কোটি পাউন্ড পেতে যাচ্ছে ইংল্যান্ডের এনএইচএস। এই অর্থকে ‘গেম চেঞ্জিং’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক। তিনি সোমবার সকালে বিবিসি ব্রেকফাস্ট অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন। এ বিষয়ে বুধবার বিস্তারিত জানানো হবে।

ঋষি সুনাকের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এনএইচএস স্টাফদের করোনা ভাইরাসের ডাবল টিকা দেয়া বাধ্যতামূলক করার কোনো পরিকল্পনা তার আছে কিনা? জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা শেষে মন্ত্রীরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যদি আপনি আমার কাছে জানতে চান, তাহলে বলবো, হ্যাঁ, আমি বাধ্যতামূলক করার পক্ষে। কারণ, জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা খাতে (এনএইচএস) যারা কাজ করছেন, তারা করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। ফলে এটা শুধু তাদেরই অধিকার এমন নয়। একই সঙ্গে তারা যাদেরকে দেখাশোনা করছেন, বিশেষ করে হাসপাতালে যারা বিপন্ন অবস্থায়, তাদেরও অধিকার। ইউরোপজুড়ে অনেক দেশই এই কাজটি করেছে। তাদের মতোই হতে পারে এ উদ্যোগ। তাই বিষয়টিতে আমাদেরকে সক্রিয়ভাবে দেখা উচিত।

রোববার বৃটেনজুড়ে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৩৯ হাজার ৯৬২ জন। সব মিলে বৃটেনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এসব হিসাব সরকারি। সে অনুযায়ী, বৃটেনে করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন কমপক্ষে এক লাখ ৩৯ হাজার মানুষ। পজেটিভ ধরা পড়ার ২৮ দিনের মধ্যে মারা গেছেন এই সংখ্যা শুধু তাদের। ওদিকে ১২ বছর এবং তার বেশি বয়সী শতকরা ৮৬ ভাগ শিশু টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে। শতকরা ৭৯ ভাগ নিয়েছে দ্বিতীয় ডোজ। সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য চলছে বুস্টার ডোজ ক্যাম্পেইন। এনএইচএস ইংল্যান্ডের তথ্যমতে, কমপক্ষে ৫০ লাখ মানুষকে তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। বৃটেনে বর্তমানে যেসব মানুষের বয়স ৫০ বছরের বেশি এবং ১৬ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে বয়সীদের যাদের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ অবস্থা আছে, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতে হচ্ছে এমন ব্যক্তি, সম্মুখ সারিতে থাকা স্বাস্থ্য ও সমাজকর্মীদের বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী, দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়ার কমপক্ষে ৬ মাস পরে বুস্টার ডোজ দিতে হয়। বিশেষ করে তা ফাইজার এবং মডার্নার টিকার ক্ষেত্রে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর