সম্প্রতি চাপিয়ে দেয়া ন্যাশনাল সিকিউরিটি ল’ বা জাতীয় নিরাপত্তা আইনের কারণে হংকং অফিস বন্ধ করে দেবে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংগঠনটি আরো বলেছে, চীনের চাপিয়ে দেয়া এই আইনের কারণে হংকংয়ে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলেছে, কমপক্ষে ৪০ বছর ধরে হংকংয়ে উপস্থিতি আছে অ্যামনেস্টির। বর্তমানে সেখানে তাদের দুটি অফিস সচল। একটি অফিস থেকে শহরের ওপর অন্যটি থেকে বিস্তৃতভাবে পুরো অঞ্চলের ওপর দৃষ্টি রাখা হয়। এর মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ের অফিসটি বন্ধ হয়ে যাবে ৩১ শে অক্টোবর। আঞ্চলিক অফিস এ বছরের শেষের দিকে সরিয়ে নেয়া হবে। উল্লেখ্য, চীনের চাপিয়ে দেয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে বিচ্ছিন্নতা, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড এবং সন্ত্রাসকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
একই সঙ্গে বিদেশি কোনো শক্তির সঙ্গে যোগাযোগও একই রকম অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। সমালোচকরা বলেন, ভিন্ন মতাবলম্বীদের ধ্বংস করে দিতে এই আইন করা হয়েছে। অন্যদিকে চীন বলছে, এই আইন করা হয়েছে সেখানকার স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে।
অ্যামনেস্টির আন্তর্জাতিক পরিচালনা পরিষদের চেয়ার আনজুলা মায়া সিং বাইস এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই আইনের অধীনে দমনপীড়নের কারণে এ বছর হংকংয়ে কমপক্ষে ৩৫টি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের ওপর ভিত্তি করে। এর ফলে সেখানে অবাধে এবং প্রতিশোধের মারাত্মক আশঙ্কা ছাড়া মুক্তভাবে কাজ করা কোনো মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনের পক্ষে কার্যত অসম্ভব। সেখানে বিরাজ করছে নিষ্পেষণমূলক পরিবেশ। এই আইনের ফলে সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে এক অনিশ্চিত অবস্থা। এটা জানা অসম্ভব হয়ে পড়েছে যে, কোন কর্মকাণ্ড সেখানে অপরাধ হিসেবে দেখা হবে।