× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেয়ারবাজারে বড় দরপতন বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

শেষের পাতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার মূল্য সূচকের ব্যাপক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১২০ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ কমে ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে। এদিকে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণও সামান্য কমেছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্রে লেনদেন শেষ হয়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে ৯ দিনের পতনে সূচক প্রায় ৫০০ পয়েন্ট কমে যাওয়ার পর মতিঝিলে বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সোমবার পতন দিয়েই শুরু হয় লেনদেন। আর একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সূচক ১৬৪ পয়েন্ট হারিয়ে ফেলে। সে সময় কেবল ১৭টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল, পড়ে যায় প্রায় সাড়ে তিনশ’ কোম্পানির দর।
তবে এরপর শেয়ারগুলো হারিয়ে ফেলা দর কিছুটা ফিরে পেতে শুরু করে।
বেলা ২টা নাগাদ হারিয়ে ফেলা সূচক থেকে ৮০ পয়েন্ট ফিরে পায় পুঁজিবাজার, কিন্তু এরপর আবার পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ১২০ পয়েন্ট সূচকের পতনে শেষ হয় লেনদেন। আর এর মধ্য দিয়ে দুই দিনেই পড়ল ১৯০ পয়েন্ট। আর গত ১১ই অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া টানা পতনের পর সূচক পড়ল ৪৮২ পয়েন্ট।
এদিকে স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারগুলো এই সোয়া এক মাসে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
সোমবার ডিএসইতে ১ হাজার ৪৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন ডিএসইতে আগের দিন থেকে ৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কম লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৭১ কোটি ৪ লাখ টাকার।
সোমবার ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১২০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৮৮৫ পয়েন্টে। যা গত ২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থান সূচকটির। এর আগে গত ২৪ আগস্ট সূচকটির অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৮৮৪ পয়েন্টে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই৩০ সূচক ৫৩ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস বা শরীয়াহ্‌ সূচক ২২ পয়েন্ট কমেছে।
সোমবার ডিএসইতে মোট ৩৭৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৭টির, দর কমেছে ৩০৭টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক ৪২৬ পয়েন্ট কমে ২০ হাজার ১৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার।
সোমবার টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকোর ১০৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ফার্মা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, জিনেক্স ইনফোসিস, আইএফআইসি ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ এবং এনআরবিসি ব্যাংক।
একইদিন দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪০০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪৬টির এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দেয়ায় রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। সোমবার লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টার মধ্যে ডিএসই’র প্রধান সূচক ১০০ পয়েন্টের বেশি নেমে গেলে ব্রোকারেজ হাউজ থেকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন বিনিয়োগকারীরা। বিক্ষোভ থেকে শেয়ারবাজারে দরপতনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে দায়ী করা হয়।
এ সময় প্রায় অর্ধশতাধিক বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারের এমন পতনকে অস্বাভাবিক হিসেবে উল্লেখ করেন। তাদের বক্তব্য, পুঁজিবাজার ভালো ছিল। একটি মহল ইচ্ছাকৃতভাবে পুঁজিবাজার থেকে মুনাফা উত্তোলনের নামে সূচকের পতন ত্বরান্বিত করছে।
আন্দোলন সম্পর্কে ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভালো একটি পুঁজিবাজার ছিল। সূচক ও লেনদেনের বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীরাও এতদিন যে হতাশার মধ্যে ছিল সেখান থেকে বের হয়ে আসছিল। কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছে বর্তমান বাজার ইনসাইডার ট্রেডিং হচ্ছে। পুঁজিবাজারে আরও পতন হবে এমন গুজব ছড়িয়ে বিনিয়োগাকারীদের শেয়ার বিক্রিতে উৎসাহী করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কমিশন যেভাবে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তাতে আতঙ্কের কিছু ছিল না। কিন্তু এখন যে অবস্থার মধ্যে আছে সেখান থেকে দ্রুত উত্তরণ হওয়া উচিত। তা না হলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনিয়োগ হারানোর আতঙ্ক আরও প্রকট হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর