শায়ান চৌধুরী অর্ণব। দুই বাংলার জনপ্রিয় গায়ক। এই কণ্ঠশিল্পী তার নিজস্ব গায়কি দিয়ে সংগীতাঙ্গনে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। সম্প্রতি এই গুণী শিল্পী ‘নোনা জলের কাব্য’ সিনেমায় সংগীত পরিচালনা করেছেন। এই সিনেমার পোস্টার অবমুক্ত করার জন্য সিনেমার পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত ঢাকা ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানেই মানবজমিনের সঙ্গে কথা হয় অর্ণবের। ‘নোনা জলের কাব্য’ ছবিতে আপনার সংগীত পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা কি রকম? অর্ণব বলেন, খুবই ভালো অভিজ্ঞতা। আপনারা তো জানেন আমি খুব বেছে বেছে কাজ করতে পছন্দ করি।
অল্প কাজ কিন্তু মার্জিত। এই সিনেমার বিষয়বস্তুটাও আমাকে খুব টেনেছে। আমি ও গুণী অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু ভাই দু’টি গানে কণ্ঠ দিয়েছি। আপনি যখন কোনো গানে কণ্ঠ দেন কোন বিষয়টিকে প্রাধান্য দেন? এ শিল্পী বলেন, অবশ্যই গানের কথাকে। গানের কথা মার্জিত হলে শিল্পী তার মন উজাড় করে তার কণ্ঠসুধা ঢেলে দেন। সেই গানের সঙ্গে সঠিক বাদ্যযন্ত্র প্রয়োগ এবং নির্দেশনা। কেউ যদি আমার জন্য কাজের প্রস্তাব নিয়ে আসেন আমি তাদের বিনয়ের সঙ্গে বলি আপনারা কি অর্ণবকেই চাচ্ছেন? নাকি তারকা অর্ণবকে চাচ্ছেন? যারা আমার কাজকে মূল্যায়ন করতে জানেন তাদের সঙ্গেই কাজ করি। যেখানেই কাজ করি না কেন আমি তাদের বন্ধু হয়ে যাই। এতে ভালো কাজের পরিবেশ তৈরি হয়ে যায়। গান নিয়ে কি কি পরিকল্পনা রয়েছে আপনার? অর্ণব বলেন, শান্তিনিকেতনে শিশুদের নিয়ে কাজ করার প্রস্তাব গত দু’বছর আগেই দেয়া হয়েছে। সেটা নিয়েই এগোচ্ছি। বর্তমানে বাংলাদেশে যে বিষয়টি সবাইকে ভাবাচ্ছে সেটা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা। এই বিষয়ে শিল্পীদের ভূমিকা তেমন নজর পড়ছে না? এ শিল্পী বলেন, কেন সবাই তো যার যার জায়গা থেকে প্রতিবাদ করছেন। আমরা শিল্পী সমাজ সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। অর্ণবের এত এত ভক্ত তাদের অভিযোগ আপনাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলোতে খুব কমই দেখা যায়। এটা কেন? অর্ণব হেসে বলেন, তাদের অভিযোগেও আমি ভালোবাসা দেখতে পাই। সত্যি বলতে আমি ব্যক্তি স্বাধীনতা খুব পছন্দ করি। মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করি। নিজেকে একই গণ্ডির ভেতর বেঁধে রাখতে চাই না।