× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতের সঙ্গে আলোচনার উত্তম সময় নয় এখন, সৌদি আরবের পাশে থাকার প্রত্যয় ইমরানের

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) অক্টোবর ২৬, ২০২১, মঙ্গলবার, ১২:০৭ অপরাহ্ন

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অবিস্মরণীয় জয়ের এই সময় এ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করার জন্য ‘উত্তম সময় নয়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি সৌদি আরব কোনো নিরাপত্তা হুমকিতে থাকলে তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ঘোষণা করেন ইমরান খান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সোমবার তিনি পাকিস্তান-সৌদি ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি পাকিস্তানে প্রবৃদ্ধি সম্ভাবনা এবং তার দেশের যুব সমাজ, কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ইমরান খান বলেন, বিশ্বে আমাদের প্রতিবেশী দুটি বৃহৎ বাজার আছে। তা হলো আফগানিস্তানের ভিতর দিয়ে মধ্য এশিয়ার বাজারে আমাদের প্রবেশাধিকার।
অন্যদিকে চীনের সঙ্গে আমাদের আছে চমৎকার সম্পর্ক। কিন্তু যেকোনো রকমে আমরা ভারতের সঙ্গে যদি সম্পর্ক উন্নতি করতে পারি- রোববার রাতে ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তান টিম তাদেরকে যে উত্তম-মধ্যম দিয়েছে, তাতে আমার মনে হয়, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার বিষয়ে কথা বলার এখন উত্তম সময় নয়।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান টিম প্রথম ইতিহাস গড়ার একদিন পর তা নিয়ে মুখ খুললেন পাকিস্তান ক্রিকেটের কিংবদন্তি, সাবেক অধিনায়ক ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়াকে বধ করে তার নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। তারপরে ১৩টি বিশ্বকাপ গিয়েছে। এর একটিতেও ভারতকে পরাজিত করতে পারেনি ইমরান খানের ক্রিকেট উত্তরসুরিরা। কিন্তু রোববার রাতে মাত্র কয়েক ঘন্টায় তারা বিশ্বজুড়ে আলোচনায় ফিরেছে। রিয়াদে বক্তব্যকালে ইমরান খান দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি মাত্র ইস্যুতেই বিরোধ। তা হলো ভারতের দখল করা কাশ্মীর। সভ্য প্রতিবেশীর মতো তিনি এ সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ৭২ বছর আগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কাশ্মীরের মানুষকে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের অধিকার নিশ্চিত করেছে। তাদের জনগণের এবং মানবাধিকার রক্ষার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে এতে। যদি এই অধিকার কাশ্মীরিদের দেয়া হতো, তাহলে আমাদের কোনোই সমস্যা থাকতো না। দুই দেশই সভ্য প্রতিবেশীর মতো বসবাস করতে পারতো। এমন হলে সম্ভাবনাটা একবার কল্পনা করুন।
তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানের ভিতর দিয়ে মধ্য এশিয়ায় সুবিধা পাবে ভারত। পক্ষান্তরে পাকিস্তান দুটি বিশাল বাজারের সুযোগ পাবে। এটাই আমি সৌদি আরবের ব্যবসায় সম্প্রদায়কে অভিভূত করে প্রভাবিত করতে চাই। কারণ, পরিস্থিতি সব সময় এক থাকে না। তা পরিবর্তন হতেই থাকে। সবচেয়ে সফল ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি, যারা সামনের দিকে তাকান এবং ঝুঁকি নেন। যারা দলনের পথে হাঁটেন তারা কখনো কোনো ক্ষেত্রেই অসাধারণ কিছু করতে পারেন না। আর তো ব্যবসার কথা!
পাকিস্তানের কৌশলগত অবস্থানের কথা আরো একবার তুলে ধরেন ইমরান খান। তিনি বলেন, পাকিস্তান যেসব সুবিধা প্রস্তাব করছে তাতে সুবিধা নিতে পারেন সৌদি আরবের ব্যবসায়ীরা। এক্ষেত্রে তিনি রবি রিভারফ্রন্ট আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট এবং সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট প্রজেক্টের কথা উল্লেখ করেন এবং এতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এর পাশাপাশি ইন্দু নদী বরাবর তিন লাখ একর উর্বর জমিতে আরো একটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। বলেন, সেখানে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায়। কিন্তু জমিতে পানি পৌঁছে দিতে প্রয়োজন খাল। তার ভাষায়, আমাদের যা প্রয়োজন তা হলো ক্যানালের মাধ্যমে ওই পানি জমিতে পৌঁছে দেয়া। ফলে ওই পুরো এলাকা চাষাবাদযোগ্য হয়ে উঠবে। তিনি উল্লেখ করেন, উভয় দেশের জন্যই এই প্রকল্প অধিক সম্ভাবনাময়। বক্তব্যের শেষে ইমরান খান বলেন, তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অন্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান। যদি সৌদি আরব ও পাকিস্তান একত্রিত হয় তাহলে দুই দেশই সমান উপকৃত হবে।
এর আগে ইমরান খান সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে বলেন, এই দুটি দেশের মধ্যকার সম্পর্ক অন্য সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। কারণ, পবিত্র দুটি মসজিদের কারণে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দ্বিতীয়ত সবচেয়ে কঠিন সবসময়েই তারা পাকিস্তানের পাশে থেকেছে। যদি সৌদি আরব কোনো নিরাপত্তা হুমকিতে থাকে, তাহলে পাকিস্তান তার নিরাপত্তা রক্ষায় সৌদি আরবের পাশে থাকবে। এ সময়ে তিনি সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের প্রশংসা করেন। বলেন, ৩০ বছর ধরে আমি সৌদি আরবে আসা-যাওয়া করছি। ক্রাউন প্রিন্সের গতিশীল নেতৃত্বের অধীনে পরিবর্তন দেখতে পেয়েছি। পার্থক্যটা কি তা দেখেছি। তিনি এমন একজন প্রিন্স, যার ভিতর পরিবর্তনের মানসিকতা আছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর