× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সামরিক অভ্যুত্থানের পর উত্তাল সুদান, গুলিতে নিহত অন্তত ১০

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) অক্টোবর ২৬, ২০২১, মঙ্গলবার, ৭:২৭ অপরাহ্ন

সুদানে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দেশটির রাজধানী খার্তুমসহ বিভিন্ন শহরে রাজপথে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিয়ে, পতাকা উড়িয়ে রাস্তায় রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। বিক্ষোভ থামাতে একাধিক স্থানে গুলি ছুঁড়েছে সেনারা। এতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে জানানো হয়েছে, সোমবার অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহান বেসামরিক সরকার ভেঙে দেন। গ্রেপ্তার করা হয় প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লা হামদাকসহ দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের। দেশে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা।
এর প্রতিবাদেই রাস্তায় নেমে আসেন দেশটির সাধারণ মানুষ। একইসঙ্গে নিন্দার ঝড় উঠেছে সমগ্র বিশ্ব থেকে। জাতিসংঘ নিরপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই সঙ্কট নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনার কথা রয়েছে।

এদিকে জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহানের দাবি, রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে এই অভ্যুত্থান ঘটানো হয়েছে। যদিও খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেনা সদস্যরা খার্তুমে বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বিক্ষোভ আয়োজনকারীদের গ্রেপ্তার করছে। এরইমধ্যে শহরের বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ আছে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলও। ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হামদক কোথায় আছেন তা নিয়ে অস্পষ্টতা দেখা যায়। পড়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আল-বুরহান জানান, প্রধানমন্ত্রী তার বাড়িতেই নিরাপদে আছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর জীবন নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন তাই তাকে নিজের বাড়িতে এনে রেখেছেন। বক্তব্যে জেনারেল আবদেল বলেন, এ সপ্তাহের শেষেই বিচার বিভাগ ও বিধানসভা গঠন করা হবে। আগামি কয়েক ঘন্টার মধ্যে ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন আবদেল বুরহান। তিনি আরও বলেন, জনগণের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাবে। তার দাবি, সুদানের রাজনীতিবিদরা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছিলেন।

তবে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে বড় ধরণের প্রতিবাদ গড়ে উঠেছে সুদানে। দেশটির  কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মীরা ধর্মঘট করছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সামরিক হাসপাতালগুলোতে একমাত্র জরুরি চিকিৎসা সেবা ছাড়া অন্য কোন চিকিৎসা সেবা দিতে ডাক্তাররা অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। রাতভর বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরও বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার সকালে রাজপথ থেকে সরেনি। তারা বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে অনড় আছে। তারা স্লোগান দিয়ে জানাচ্ছে, মানুষের দাবি বেসামরিক শাসন। টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে তারা রাস্তায় রাস্তায় প্রতিবন্ধক তৈরি করছে। বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন বহু নারীও। তারাও সামরিক শাসন চাই না বলে ধ্বনি দিচ্ছে।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপ সুদানের শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। যুক্তরাষ্ট্র সুদানের জন্য বরাদ্দ ৭০ কোটি ডলার সহায়তা স্থগিত করেছে। সুদানে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের খবরে বিশ্ব নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বৃটেন, ইইউ, জাতিসংঘ এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের সাথে সুর মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও দেশটিতে রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। এই নেতাদের অজ্ঞাত স্থানে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর