× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কয়রায় পিতা-মাতা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৭ অক্টোবর ২০২১, বুধবার

খুলনার কয়রা বামিয়ায় পিতা-মাতা ও একমাত্র মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরে ভাসিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। গতকাল সকালে স্থানীয়রা বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতরা হলেন- মাজেদ গাজীর ছেলে মো. হাবিবুর রহমান গাজী (৪০), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (৩০) ও তাদের একমাত্র মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী হাবিবা খাতুন টুনি (১১)।

কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘কয়রা উপজেলার বামিয়া গ্রামের মা-বাবা ও তাদের একমাত্র সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে। নিহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, হাবিবুর পেশায় দিনমজুর। মেয়ে হাবিবা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। ৩ জনের মাথা ও মুখে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গত সোমবার রাতের খাবার খেয়ে তারা সকলে ঘুমিয়ে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে রাতের যেকোনো সময় ঘুমন্ত অবস্থায় অস্ত্রধারীরা তাদেরকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দিয়ে থাকতে পারে।

হাবিবুর রহমানের প্রতিবেশী মো. আহসান হাবিব জানান, দিনমজুর হাবিবুর রহমান সোমবার রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
কিন্তু রাতের কোনো এক সময় হয়তো অস্ত্রধারীরা তাদের হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দিয়েছে।

বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী বলেন, যে ৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে তারা আমার পরিচিত। তাদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে শুনতে পেয়েছি।

কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রবিউল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকাণ্ড কী কারণে সংঘটিত হয়েছে তার রহস্য উৎঘাটনের চেষ্টা চলছে। খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর