× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চায়না টেলিকমের লাইসেন্স বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) অক্টোবর ২৭, ২০২১, বুধবার, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

চীনের একটি শীর্ষ টেলিযোগাযোগ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে এখন তারা আর সেখানে ব্যবসা করতে পারবে না। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ‘চায়না টেলিকম’-এর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সব রকম কর্মকা- বন্ধ করতেই হবে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, এই কোম্পানির ওপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চীন সরকারের। যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে প্রবেশ করতে পারে, বিভিন্ন ‘স্টোরে’ প্রবেশ করতে পারে, যোগাযোগ বিঘ্নিত করতে পারে অথবা তাকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে- কোম্পানিটিকে এমন সুবিধা দিয়েছে চীন সরকার। এর ফল হিসেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি অথবা অন্যান্য ক্ষতিকর কর্মকা- চালাতে পারে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২০ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছে চায়না টেলিকম। তারা লাইসেন্স বাতিল করাকে হতাশাজনক সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছে। এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, ভোক্তাদের সেবা অব্যাহত রাখার জন্য সব রকম অপশন বা বিকল্প পথ নিয়ে চেষ্টা চালাবে তারা। উল্লেখ্য, চীনের টেলিযোগাযোগ বাজারে আধিপত্য বিস্তারকারী তিনটি কোম্পানির মধ্যে অন্যতম চায়না টেলিকম। ১১০টি দেশে তাদের আছে কোটি কোটি ভোক্তা। তাদের সেবার মধ্যে রয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট থেকে মোবাইল এবং ল্যান্ডফোন নেটওয়ার্ক।
বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ হি’র সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন। এই দুই নেতার মধ্যে এই সাক্ষাতকে দেখা হচ্ছে দুই সুপারপাওয়ারের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির লক্ষণ হিসেবে। এর কয়েক ঘন্টা পরেই চায়না টেলিকমের লাইসেন্স বন্ধের সিদ্ধান্ত এসেছে। এর আগে দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্যিক বাধা নিয়ে এবং তাইওয়ান নিয়ে তীব্র বিরোধিতা সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় ২০২০ সালের এপ্রিলে চায়না টেলিকম আমেরিকা বন্ধ করে দেয়া হতে পারে বলে সতর্কতা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন। বলা হয়েছিল, কোম্পানিটিতে চীনা সরকারের শোষণ, প্রভাব এবং নিয়ন্ত্রণ আছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে উদ্বেগ দেখা দেয়ায় সর্বশেষ চীনা টেলিযোগাযোগ বিষয়ক এ প্রতিষ্ঠান মার্কিন কর্মকর্তাদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে।
এর আগে গত বছর ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন চীনের জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এবং জেডটিই’কে যোগাযোগ বিষয়ক নেটওয়ার্কে হুমকি হিসেবে দেখা হয়। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো ওই কোম্পানিগুলোর কোনো সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দেয়া হয়। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চায়না মোবাইলের লাইসেন্স বাতিল করে ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন। একই কাজ করতে যাচ্ছে চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত অন্য দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। তারা হলো চায়না ইউনিকম আমেরিকাস এবং প্যাসিফিক নেটওয়ার্কস।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর