জনবল সংকটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বরগুনার আমতলী উপজেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালটি। ২১ জন চিকিৎসকের মধ্যে কর্মরত আছেন ১০ জন। এতে রোগীরা তাদের কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না । কবে পরিপূর্ণ জনবল মিলবে তাও সঠিকভাবে বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার আড়াই লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসকসহ জনবলেও রয়েছে ঘাটতি। হাসপাতালের ২১টি অনুমোদিত চিকিৎসকের পদে আছেন ১০ জন। এর মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট অ্যানেসথেসিয়া, শিশু, অর্থোঃ, কাডিঃ, চক্ষু, ইএনটি, স্কিন, প্যাথলজিস্ট, গাইনি ও মেডিসিন পদগুলো দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। সিনিয়র স্টাফ নার্স এর ১৮ পদের বিপরীতে ১৪ জন কর্মরত থাকলেও বাকি ৪টি পদ শূন্য রয়েছে। মিডওয়াইফ এর ৪টি পদের সবগুলোই খালি রয়েছে।
এছাড়া ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর মোট ১০৫ পদের মধ্যে ২৪টি পদ শূন্য রয়েছে। চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণেই মূলতঃ সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা।
বর্তমানে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে কর্মরত ১০ জন চিকিৎসকের মধ্যে ২ জনকে প্রশাসনিক কাজ-কর্মে ব্যস্ত থাকতে হয়। অপরদিকে হাসপাতালে জনবল সংকটের কারণে রোগীদের অন্যান্য সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নার্স ও স্টাফদেরও। কবে পরিপূর্ণ জনবল মিলবে তাও সঠিকভাবে বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষরা জানায়, এমন প্রতিকূলতার মধ্যেও সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ আবদুল মুনয়েম সাদ মুঠোফোনে বলেন, জনবল সংকটের কারণে পরিপূর্ণভাবে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। তারপরেও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, হয়তো শিগগিরই একটা সু-ব্যবস্থা হবে। প্রয়োজনীয় জনবলের চাহিদা সংশ্লিষ্ট দফতরে দেয়া আছে। এ সংকট নিরসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছি।
বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মারিয়া হাসান মুঠোফোনে বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের ভিত্তিতে শিগগিরই এ সংকট সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদী।