× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পিটিআইয়ের রিপোর্ট / ত্রিপুরায় মসজিদ ভাঙচুর, মুসলিমদের কয়েকটি দোকানে আগুন, বাড়িতে লুটপাট

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) অক্টোবর ২৭, ২০২১, বুধবার, ১:৫১ অপরাহ্ন

ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই এক রিপোর্টে বলেছে, ত্রিপুরায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি র‌্যালির সময় সেখানে একটি মসজিদ ভাঙচুর করা হয়েছে। আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বেশ কিছু দোকানপাটে। এসব দোকানের মালিক মুসলিমরা। বিরোধী দল সিপিআই(এম) এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। তারা ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে এ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নন বিজেপি মুখপাত্র। পিটিআই আরো লিখেছে, প্রতিবেশী বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উত্তর ত্রিপুরা জেলার চামতিল্লা এলাকায় একটি র‌্যালি বের করে। ওই জেলার এসপি ভানুপদ চক্রবর্তী বলেছেন, এ সময় মসজিদে ভাঙচুর করা হয়েছে।
দুটি দোকানে আগুন দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ ছাড়া রোয়াবাজারে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের তিনটি বাড়ি ও কয়েকটি দোকানে লুটপাট করা হয়েছে। ভানুপদ চক্রবর্তী আরো বলেন, চামতিল্লা এলাকায় র‌্যালি করার সময় একদল লোক ওই মসজিদে ইটপাথর নিক্ষেপ করে এবং এর একটি দরজার ক্ষতি করে। এর পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধী সিপিআই(এম)। বামপন্থি এই দলটি বলেছে, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে সক্রিয় আছে দুর্বৃত্তদের একটি গ্রুপ। সব পক্ষের প্রতি শান্তি বজায় রাখার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিপিআই (এম)। তারা এক বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে এ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নন বলে জানিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেছেন, যদি এমন কিছু ঘটে থাকে তাহলে পুলিশের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
ওদিকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সহিংসতার পর ত্রিপুরায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। বিশেষ করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তা আরো কড়াকড়ি করা হয়েছে। এই সীমান্ত বরাবর ত্রিপুরার যেসব জেলা রয়েছে, তার এসপিদেরকে অতিরিক্ত দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কোনো অনুপ্রবেশের চেষ্টা ভণ্ডুল করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে সতর্ক রাখা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর