× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘ইলোন মাস্কের সম্পদের ২ ভাগ হলেই বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সমস্যার সমাধান সম্ভব’

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) অক্টোবর ২৭, ২০২১, বুধবার, ৩:২৬ অপরাহ্ন

জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) পরিচালক ডেভিড বিসলে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ইলোন মাস্কের মোট সম্পদের শতকরা ২ ভাগ হলেই বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তিনি আরো বলেছেন, এমন অতিরিক্ত সম্পদ আছে বিশ্বে ছোট্ট একটি গ্রুপের কয়েকজন ব্যক্তির হাতে। তাদের সম্পদের সামান্য অংশ হলেই বিশ্বের ক্ষুধার্তদের সমস্যা সমাধানে সহায়ক হয়। মঙ্গলবার সিএনএনের সাংবাদিক বেকি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে ‘কানেক্ট দ্য ওয়ার্ল্ড’ অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেন ডেভিড বিসলে। তিনি বলেন, বিশ্বে যেসব বিলিয়নিয়ার আছেন, তাদের এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিত। একবারের ভিত্তিতে অর্থ দেয়া উচিত। এ সময় তিনি বিশেষ করে বিশ্বের দুজন শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস এবং ইলোন মাস্কের নাম উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, বিশ্বে এখন ৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ আছেন, যদি আমরা তাদের কাছে সহায়তা নিয়ে অগ্রসর না হই, তাহলে আক্ষরিক অর্থেই তারা মারা যাবেন।
এ জন্য প্রয়োজন ৬০০ কোটি ডলার। ব্লুমবার্গের হিসাবে তেসলা’র প্রধান নির্বাহী ইলোন মাস্কের আছে নিট প্রায় ২৮৯০০ কোটি ডলারের সম্পদ। সেখান থেকে শতকরা মাত্র ২ ভাগ দান করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ডেভিড বিসলে। প্রগ্রেসিভ গ্রুপ ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজ অ্যান্ড আমেরিকানস ফর ট্যাক্স ফেয়ারনেসের তথ্যমতে, করোনা মহামারি শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের বিলিয়নিয়ারদের নিট সম্পদ দ্বিগুনেরও বেশি হয়ে গেছে। অক্টোবরে তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫.০৪ ট্রিলিয়ন ডলার। ডেভিড বিসলে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং করোনা মহামারির মতো বেশকিছু সঙ্কটের এক ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এর অর্থ হলো, বহু দেশ এর ফলে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে। সোমবার ডব্লিউএফপির রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক- অর্থাৎ ২ কোটি ২৮ লাখ মানুষ চরমভাবে অনাহারের মুখোমুখি। ভয়াবহ বেকারত্ব এবং তারল্য সঙ্কটের কারণে এই দেশটিতে মানবিক সঙ্কট অত্যাসন্ন। সেখানে ৫ বছরের নিচে বয়সী ৩২ লাখ শিশু চরম ঝুঁকিতে।
ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন থেকে গত সপ্তাহে সতর্কতা দিয়ে নতুন ধারাবাহিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারি এবং প্রতিটি দেশের সরকারের জন্য তা সমস্যা হয়ে দেখা দেবে। এতে তুলে ধরা হয়েছে, কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানুষ অভিবাসী হবে। এটাই প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিবাসনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয় স্বীকার করলো। অতীতে এ বিষয়ে সতর্ক করেছে ডব্লিউএফপি। বিশেষ করে মধ্য আমেরিকার ‘ড্রাই করিডোরে’র কথা উল্লেখ করেছে তারা। ডব্লিউএফপির হিসাবে ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলে ৫২ লাখ মানুষের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। সেখানে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। কমপক্ষে ২০ লাখ মানুষ হয়েছেন বাস্তুচ্যুত। ওই অঞ্চলে সঙ্কটে থাকা এসব মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে চেষ্টা করেছে ডব্লিউএফপি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর