পরিকল্পিতভাবে পূজামণ্ডপে কোরআন রেখে ও পরবর্তীতে সারাদেশে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, একথা স্পষ্ট যে, এসব ঘটনায় ধর্মভিত্তিক কোনো দল, সংগঠন বা ধর্মপ্রাণ নাগরিক জড়িত নয়। ইসলামী সংগঠনের তৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে।
বুধবার সকালে পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘দেশের চলমান সংকট উত্তরণে করণীয়’ নির্ধারণে ওলামা মাশায়েখ ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, কথিত কিছু বুদ্ধিজীবী দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটলেই আলেম-ওলামা ও ইসলামী সংগঠনগুলোকে একতরফা দায়ী করে। তার সুযোগ বুঝে ’৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়া এবং দেশে ইসলামপন্থিদের সব তৎপরতা বন্ধের দাবি তোলেন।
রেজাউল করিম বলেন, ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশ ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশে বসেও একটি শ্রেণি তাতে তাল মেলাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের সংখ্যালঘুরা রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধা মুসলমানদের চেয়ে বেশি ভোগ করছে, যা বিশ্বে বিরল। সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে কেউ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ববিরোধী ষড়যন্ত্র সাজিয়েছে কি না, তা দেশবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। সংকট নিরসনে তিনি দলমত নির্বিশেষে সব দেশপ্রেমিক শক্তির জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারি সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতী মুহিব্বুল্লাহিল বাকি নদভী, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, বগুড়া জামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, প্রখ্যাত গবেষক ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, সন্ধিপের পীর সাহেবের জামাতা মুফতী ওমর ফারুক সন্ধিপী, বেফাকুল মাদারিসে দ্বীনিয়ার মহাসচিব মুফতী মোহাম্মদ আলী, গবেষক-রাজনীতিক অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জিরি মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মুহাম্মদ খোবায়েব, সাবেক এমপি প্রফেসর ডা. আক্কাস আলী সরকার, বরিশাল মাহমুদিয়া মাদরাসার মুহতামিম মুফতী ওবায়দুর রহমান মাহবুব, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, ফরায়েজী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা আব্দুর রহমান ফরায়েজী, বাংলদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধি মুফতী আব্দুর রহীম সাঈদ প্রমূখ।।