সিলেটে জ্বালানি তেল সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। তেল সংকটের কারণে দিনে দিনে স্থবির হয়ে পড়ছে এর সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন খাতের মানুষের জীবনযাত্রা। এই সংকটের জন্য সংশ্লিষ্টরা রেলের ওয়াগন সংকটকে দায়ী করছেন। এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে জ্বালানি তেল উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে এ সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেছেন। তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান না করলে আন্দোলনে যাবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গতকাল রাতে দক্ষিণ সুরমার চণ্ডিপুলস্থ একটি কনভেশন হলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স এসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় শাখার জরুরি সভায় এই হুঁশিয়ারি দেন। এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় জরুরি সভায় বক্তব্য রাখেন, খান মো. ফরিদ উদ্দিন, নুরুল ওয়াছেহ আলতাফী, হুমায়ুন আহমেদ, সায়েম আহমেদ, জুবের আহমেদ চৌধুরী খোকন, ব্যারিস্টার রিয়াশাদ আজিম হক আদনান, সিরাজুল হোসেন আহমদ, সাহেদ আহমদ চৌধুরী, এনামুল হক রুবেল, রিয়াদ উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, আখতার ফারুক লিটন, লোকমান আহমদ মাছুম, আফজাল আহমদ, আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার, আব্দুল মুমিন, ফয়জুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, ইউনুস আলী, নাদিম রহমান, জহির উদ্দিন মো. বাবর, মশিউর রহমান চঞ্চল, মো. ছানাওয়ার আলী প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, সিলেটে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ লিটার জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে।
এর মধ্যে বর্তমানে সরবরাহ আছে মাত্র ১ থেকে সোয়া ১ লাখ লিটারের মতো। বর্তমানে যে তেল সরবরাহ হচ্ছে তা সিলেটের চারটি ডিপোর মধ্যে ভাগ করে নিতে হয়। এর জন্য কোনো কোম্পানিই তাদের গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে পারেন না। সিলেটের জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা মনে করেন দেশে তেল সংকট না থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই কৃত্রিমভাবে এই সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে। সভায় পদ্মা, মেঘনা, যমুনা কোম্পানরি জেলা বিপণন কর্মকর্তাদের অদক্ষতাকে দায়ী করে অবিলম্বে তাদের অপসারণ দাবি করা হয়।