কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনের মামলার নথি আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এ সংক্রান্ত সব নথি সিআইডি’র কাছে হস্তান্তর করে। সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান বলেন, গত ২৪শে অক্টোবর রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। সে আলোকে বুধবার মামলার সব ডকুমেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা এরই মধ্যে মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করেছি। এ মামলায় ৮০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি বাকি ২০ শতাংশও দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ঘাটন হবে এবং ইকবালের ইন্ধনদাতা ও জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। রিমান্ডে ইকবাল যেসব তথ্য দিচ্ছেন তা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে সেসব তথ্য বলা যাচ্ছে না।
মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত হচ্ছে মণ্ডপ থেকে পুলিশের উদ্ধার করা পবিত্র কোরআন। তবে ওই কোরআন শরীফে অনেকেরই ফিঙ্গার প্রিন্ট থাকায় আমরা (সিআইডি) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এতে সুনির্দিষ্ট কারও ফিঙ্গার প্রিন্ট পাইনি।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার অন্য তিন আসামি হলেন- ঘটনার দিন সকালে পুলিশকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা রেজাউল ইসলাম ইকরাম, দারোগা বাড়ি মাজার মসজিদের সহকারী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন কবির সানাউল্লাহ।