ফুড এগ্রিগেটর সুইগিতে খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। অনলাইনে খাবারের দাম নিয়ে নেয়া হলেও সেই অর্ডার পৌছায়নি অভিনেতার সৈয়দ আমির আলি এভিনিউ এর উৎসব নামের বাড়িতে। সুইগিকে অভিযোগ জানান প্রসেনজিৎ। সুইগি অভিনেতার অনলাইনে জমা দেয়া টাকা ফেরত দিয়েছে। কিন্তু প্রসেনজিৎ এখানেই থেমে থাকেননি। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়ে লিখেছেন, বাড়িতে অতিথি এলে কিংবা ক্ষুদার্ত কেউ রাতে খাবারের অর্ডার দিলে তাদের কি না খেয়ে থাকতে হবে? ফুড এগ্রিগেটর সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।
প্রসেনজিতের এই চিঠির কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হতেই বহু মানুষ সুইগিতে তাঁদের খারাপ অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। আবার বিশাল সংখ্যক মানুষ প্রসেনজিতকে কটাক্ষ করে লিখেছেন- এ তো জাতীয় সমস্যা! দেশের শীর্ষ দুই পদাধিকারীকে চিঠি লিখতে হল।
মোদি এবং মমতার উচিত সব সমস্যা ফেলে দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা। আবার একজন লিখেছেন- ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার ইনডেক্স এ ভারত কত নম্বরে আছে তা কি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানেন? জানলে এই চিঠি তিনি মুখ্যমন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রীকে লিখতেন না। এদেশে এখনও কয়েককোটি মানুষ প্রতিদিন অভুক্ত থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিরন্তর আক্রমণে জর্জরিত হলেও বিচলিত নন প্রসেনজিৎ। তিনি মনে করছেন, যা করেছেন তা ঠিক করেছেন।