রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বুধবার। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে পঞ্চায়েত দপ্তর শূন্য, ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে গুরুতর অসুস্থ। এই অবস্থায় মমতা বন্দোপাধ্যায় মন্ত্রীসভায় রদবদল ও সম্প্রসারণ অনিবার্য। চলতি সপ্তাহে, সম্ভবত মঙ্গলবারই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তার মন্ত্রিসভার পরিবর্তন ঘটাচ্ছেন। স্বাস্থ্যের কারণে অবসর নেয়া অমিত মিত্রকে মমতা মন্ত্রী সমতুল্য মর্যাদা দিয়ে অর্থদপ্তরের বিশেষ উপদেষ্টা হিসাবে রাখছেন। অর্থ দপ্তরটি নিজের হাতেই রাখছেন মমতা। প্রতিমন্ত্রী হিসাবে এই দপ্তরে আসবেন মমতার বিশেষ আস্থাভাজন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সম্প্রতি জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন চন্দ্রিমা।
নগরোন্নয়ন দপ্তরটি ফিরে পেতে পারেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি কলকাতার মেয়র পদের দাবিদারও। মমতার নতুন পরিবহন মন্ত্রী কে হবেন, ক্রেতা সুরক্ষা এবং পঞ্চায়েত কে পাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় প্রোমোশন পেয়ে বড় দপ্তরে আসতে পারেন। পঞ্চায়েত পাওয়া সেক্ষেত্রে অস্বাভাবিক নয়। মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন দিনহাটা উপনির্বাচনে জেতা উদয়ন গুহ। হাওড়া, বিধাননগর ও কলকাতার সম্ভাব্য মেয়র কে হবেন তাও ঠিক করতে হবে মমতাকে। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জায়গায় বালিগঞ্জ-এ উপনির্বাচনে প্রার্থী কে হবেন তা নির্দিষ্ট করতে হবে। এই দৌড়ে এগিয়ে আছেন বৈশানর চট্টোপাধ্যায়।