শহীদ নূর হোসেন দিবসে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট নূর হোসেন চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। গতকাল সকালে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, নূর হোসেনের আত্মত্যাগ ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সামরিক স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো। জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকা আজকের স্বৈরাচার পতনেও নূর হোসেনের মতো অসংখ্য মানুষ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে মানুষকে তার হারানো অধিকার ফিরিয়ে দেবো ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবো। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দেশের জনগণকে গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাবো। সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, নূর হোসেনের আত্মত্যাগ ৯০-এর গণআন্দোলনকে বেগবান করেছিলো। আওয়ামী লীগ নূর হোসেনকে যুবলীগের কর্মী দাবি করলেও আওয়ামী লীগই নূর হোসেনের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের সঙ্গে জোট করেছে।
স্বৈরাচার এরশাদের সঙ্গে জোট করে তারা মহা স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছে, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে না পারা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ব্যর্থতা বিদ্যমান রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের। তাই আগামীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতেই আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে নতুন রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ গঠন করেছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নূর হোসেনের আত্মত্যাগের চেতনাকে ধারণ করে গণঅধিকার পরিষদ কাজ করে যাবে। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, মাহফুজ খান, সোহরাব হোসেন, সহকারী আহ্বায়ক তামান্না ফেরদৌস শিখা, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লা, যুগ্ম সদস্য সচিব ফাতেমা তাসনিম, জিলু খান, সহকারী সদস্য সচিব খাইরুল কবীর প্রমুখ।
নাজমুল হুদা প্রমুখ। একই সময়ে শহীদ নূর হেসেন চত্বরে ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ এবং শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।