× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জলবায়ু পরিবর্তন: চীন-যুক্তরাষ্ট্র বিস্ময়কর চুক্তি

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) নভেম্বর ১১, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১০:০১ পূর্বাহ্ন

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত এক বিস্ময়কর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র। গ্লাসগো সম্মেলনে সম্পাদিত চুক্তিতে বলা হয়েছে আগামী এক দশক তাদের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনকারী এই দুটি দেশ এক ঘোষণায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ধরে রাখতে তারা যৌথভাবে কাজ করবে।

এই লক্ষ্য নির্ধারণের উল্লেখযোগ্য যে পার্থক্য আছে, তা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। বিজ্ঞানীরা বলেছেন বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে ধরে রাখতে পারলে ভয়াবহ বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে। যদি তাপমাত্রা এই মাত্রায় মধ্যে ধরে রাখা সম্ভব হয়, তাহলে শিল্পায়ন পূর্ববর্তী যুগের তাপমাত্রা কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের সম্মেলনে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল যে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে তারা কাজ করবেন। এটা করা হবে কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনার মাধ্যমে।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক চীনের শীর্ষ সমঝোতাকারী শী জেনহুয়া সাংবাদিকদের বলেছেন যে, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে ব্যবধান তা থেকে অনেক বেশি যুক্ত রয়েছে এই দুটি দেশ।

আগামী সপ্তাহে ভার্চুয়াল এক মিটিংয়ের বসতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ দুটি দেশকে বিভিন্ন ইস্যুতে বিশ্বে পরস্পর বিরোধী হিসেবে দেখা হয়। তাদের মধ্যে প্রযুক্তিগত দিক থেকে ঘোর বিরোধিতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি চীন প্রযুক্তি পণ্যের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনিতরো বিভিন্ন রকম অভিযোগের ভিত্তিতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তলানিতে এসে দাঁড়িয়েছে। চীনের সাথে শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ । এ অবস্থার মধ্য দিয়ে বুধবারের যৌথ বিবৃতিকে বিরল বলে আখ্যায়িত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

এতে মিথেন নির্গমন, ক্লিন এনার্জির রূপান্তর এবং কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনাসহ বেশ কিছু বিষয়ে তারা একমত হয়েছে। কিন্তু এ সপ্তাহেই মিথেন গ্যাস এর মাত্রা কমানোর একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল চীন। এই মিথেন গ্যাস গ্রিন হাউস গ্যাসের মধ্যে মারাত্মক ক্ষতিকর। তবে যাই হোক সমস্যা কেটে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনসহ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে প্রায় একশত দেশ। চীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা সমস্যা মোকাবেলার জন্য একটি জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।

সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু বিষয়ক দূত জন কেরির পরে বক্তব্য রাখেন শি জিনপিং। তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে মতবিরোধের কোন অভাব নেই। কিন্তু জলবায়ু সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই মতবিরোধকে আরো কমিয়ে আনা হবে। তিনি আরো বলেন এখন থেকে প্রতিটি পদক্ষেপেরই যথেষ্ট অর্থ বহন করবে এবং আমরা সামনে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর