রয়েড স্ট্রিট ধরে মারকুইস স্ট্রিট হয়ে মির্জা গালিব স্ট্রিট। একপাশে সদর স্ট্রিট আর পার্কস্ট্রিট। এই নিয়ে কলকাতার লিটল বাংলাদেশ। কুড়িমাস আগে বাংলাদেশের পর্যটকদের কলতানে মুখরিত হয়ে থাকতো জায়গাগুলি। হোটেল, গেস্টহাউসগুলি রমরম করে চলতো। প্রিন্স, কস্তুরী, প্রভৃতি রেস্তোরাঁগুলি মৌ মৌ করতো ইলিশ সর্ষে আর মোরগ পোলাওয়ের গন্ধে। বাংলাদেশি ক্রেতাদের ভিড়ে ভরে উঠতো নিউ মার্কেট কিংবা পার্কস্ট্রিট এর শাড়ির দোকান। এই অঞ্চলের অর্থনীতির অনেকটাই নির্ভর করতো বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর।
কিন্তু কালান্তক করোনা কেড়ে নিয়েছিল সব। একটি ৬০ ন্যানোমিটারের ভাইরাস দুনিয়াটাকেই বদলে দিয়েছিলো। কিন্তু ভাইরাসের প্রাবল্য কিছুটা কমতেই আবার পর্যটনের দরজা খুলছে ১৫ নভেম্বর। বিমানে বাংলাদেশের পর্যটকরা আসতে পারবেন কলকাতায়। বুধবার বিকেলে লিটল বাংলাদেশে ঘুরে দেখলাম মুখে চওড়া হাসি ব্যবসায়ীদের। মির্জা গালিব স্ট্রিটে বাংলাদেশের পর্যটকদের লাঞ্চ কিংবা ডিনার খাওয়ার ঠিকানা প্রিন্স এর মালিক সাহা বাবু আর সিংজি হাত নেড়ে বললেন, আবার হবে মোরগ পোলাও, মাস্টার এসে গেছে। আমরা তৈরি হচ্ছি। শুধু মোরগ পোলাও নয়, ইলিশ মাছের ভাপা, সর্ষে ইলিশ, চিংড়ির মালাইকারি, কই মাছের হরগৌরী নিয়ে তৈরি বাঙালিয়ানায় ভরা রেস্তোরাঁগুলি। গেস্টহাউসগুলোতে রঙিন টুনি দিয়ে লেখা হচ্ছে - ওয়েলকাম, বাংলাদেশি ফ্রেন্ডস। পার্ক স্ট্রিট-এর শাড়ি ব্যবসায়ী রামলাল পারেখ বললেন, বেনারসি, পাটোলা আর ইন্ডিয়ান সিল্ক নিয়ে আমরা বসে আছি বাংলাদেশের অপেক্ষায়। পর্যটকরা প্রথম যেদিন আসবেন সেদিন তাঁদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানাবে ভারত - বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতি। সব আয়োজন সারা।