× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের জান্তার প্রতি নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বান, উদ্বেগ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) নভেম্বর ১১, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ২:৫২ অপরাহ্ন

অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের জন্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এ বিষয়ে এক প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে পরিষদের ১৫ সদস্যের সবাই। সর্বসম্মত এ বিবৃতিকে বিরল হিসেবে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি মিয়ানমারজুড়ে ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। এতে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে সামরিক জান্তার প্রতি।

দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য চিন-এ সামরিক জান্তা ভারি অস্ত্রশস্ত্র এবং সেনা মোতায়েন করছে। ধারণা করা হচ্ছে, ১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ওই রাজ্যে মিলিশিয়া গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালানোর জন্য এসব অস্ত্র জমা করছে সেনাবাহিনী। এ খবরের প্রেক্ষিতে পরিষদ ওই আহ্বান জানিয়েছে।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।

নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে আরও ভয়াবহ সহিংসতা বিস্তারের খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। তারা অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ এবং বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। তবে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ১লা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্রপন্থীদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ভয়াবহ আকার ধারণ করে। বিক্ষুব্ধ জনতার উপরে সেনাবাহিনী সরাসরি গুলি চালিয়ে কমপক্ষে এক হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। পক্ষান্তরে বিরোধীদলগুলো এবং মিলিশিয়ারা মিলে গঠন করেছে জাতীয় ঐক্যের সরকার এনইউজি। কিন্তু সামরিক জান্তা তাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত খসড়া প্রস্তাব প্রণয়ন করেছে বৃটেন। এতে বলা হয়েছে ১লা ফেব্রুয়ারি দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর সেখানকার পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। এ অবস্থায় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে হবে। মিয়ানমারের জনগণের ইচ্ছা এবং স্বার্থের অনুকূলে আলোচনা এবং পুনরেকত্রীকরণে পদক্ষেপকে উৎসাহিত করতে হবে। সহিংসতাকবলিত এলাকাগুলোতে মানবিক সহায়তা এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর