যতই বলা হোক যাত্রা দেখে ফাতরা লোকে- বাংলার যাত্রা শিল্প যে সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে একটি জায়গা করে নিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। গত ২০ মাসে নিদারুন করোনার ফলে যাত্রা শিল্পে নাভিশ্বাস উঠেছিল। বুকিং নেই, চিৎপুরে যাত্রার গদি গুলো বন্ধ। গ্রামবাংলায় বন্ধ যাত্রা পালা। বহু কোম্পানির ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বেশ কিছু যাত্রা শিল্পী অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। জনপ্রিয় এক যাত্রা শিল্পীকেতো মানিকতলা বাজারে মাছ বিক্রি করতেও দেখা গিয়েছিল। পুজোর পর থেকে যাত্রা পাড়া আবার ছন্দে ফিরেছে।
করোনা বিধিনিষেধ অনেক শিথিল হওয়ায় গ্রামগঞ্জ থেকে বুকিং আসছে। ব্যাস্ততা দেখা যাচ্ছে যাত্রাপাড়ায়। বহু শিল্পী আবার নিজের পুরোনো পেশায় ফিরছেন। কোলিয়ারি থেকে বুকিংও হচ্ছে। নায়ক পক্ষের আনাগোনায় আবার মুখরিত যাত্রা পাড়া। দুপুরে কান পাতলে মহলার আওয়াজও শোনা যাচ্ছে। কলকাতার চিৎপুরে কমবেশি ১০০ গদিঘর আছে যাত্রা কোম্পানির। সেখানে এখন তোড়জোড় আগামী চার মাসের জন্য। আবার বাস ভর্তি কলাকুশলী নিয়ে যাত্রা কোম্পানির গাড়ি গ্রামে গঞ্জে রওনা দেবে- আশা সকলের।