চট্টগ্রাম নগরীতে সিএনজি ও ডিজেলচালিত বাস শনাক্তকরণ ও চালকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রোধ করতে বাসে স্টিকার লাগিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে ডিজেলচালিত গাড়িতে লাগানো হয়েছে লাল ও সিএনজিচালিত গাড়িতে লাগানো হয়েছে সবুজ স্টিকার। গতকাল সকাল থেকে নগরের দুই নম্বর গেট, জিইসি ও টাইগারপাস এলাকায় এই স্টিকার লাগানো কার্যক্রম চালিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। জানা যায়, গণপরিবহনে নৈরাজ্য প্রতিরোধ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথম দিনেই প্রায় দেড়শ’ গাড়িতে লাল-সবুজ স্টিকার লাগিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। স্টিকারের পাশাপাশি এসব গাড়িতে ভাড়ার তালিকাও টাঙিয়ে দেয়া হয়। পুলিশের এই কার্যক্রমে বিআরটিএ এবং মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সহযোগিতা করেন। এই বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক উত্তরের ডিসি মো. আলী হোসেন মানবজমিনকে বলেন, ভাড়া বাড়ানোর পর থেকে গাড়িতে যাত্রীদের সঙ্গে চালক-হেলপারদের নিয়মিত বাকবিতণ্ডা চলছে। সরকার ডিজেলচালিত বাসের ভাড়া বাড়ালেও সিএনজি চালিত বাসের চালকরাও নতুন রেটে ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই কারণে আমরা ডিজেল ও সিএনজি চালিত গাড়ি চেনা সহজ করতে স্টিকার লাগাচ্ছি। এর মধ্যে ডিজেল চালিতে গাড়িতে লাগানো হচ্ছে লাল ও সিএনজি চালিত গাড়িতে লাগানো হচ্ছে সবুজ স্টিকার। আমাদের এই কার্যক্রম চলবে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে আমরা সব গাড়িকে স্টিকারের আওতায় আনবো।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আশা করছি ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে চালকদের ঝামেলা কমে আসবে। আর কোনো চালক এই স্টিকার তুলে ফেলেছে, এমন বিষয় ধরা পড়লে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো। উল্লেখ্য, ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর পর বাস মালিকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার গত ৭ই নভেম্বর ডিজেল চালিত পরিবহনের ভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। তবে এই সুযোগে সিএনজি চালিত পরিবহনের চালকরাও ডিজেল চালিত গাড়ির মতো ভাড়া আদায় করতে থাকে। এই নিয়ে গত কয়েকদিনে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামের গণপরিবহনেও যাত্রীদের সঙ্গে চালক-হেলপারদের নিয়মিত সমস্যা হচ্ছে। সবশেষ শুক্রবার রাতে নগরের টাইগারপাস এলাকায় হেলপারের দাবিকৃত অতিরিক্ত ভাড়া না দেয়ায় আবদুল হামিদ নামে এক যাত্রীকে লাথি দিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দেন গাড়ির হেলপার।