নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সহকর্মীকে নিয়ে গার্মেন্ট থেকে বাসায় ফিরছিল গার্মেন্টকর্মী এক তরুণী (১৯)। তাদের পথরোধ করে প্রেমিক-প্রেমিকা আখ্যা দিয়ে বিচারের নামে নিয়ে যাওয়া হয় একটি অটো রিকশার গ্যারেজে। সেখানে তরুণীকে আটকে রাতভর গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দানিয়াল (২৭) নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে ফতুল্লার মাসদাইর বাড়ৈভোগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত দানিয়াল বাড়ৈভোগ এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তরুণী জানায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গার্মেন্টসের ছুটি শেষে বাসায় ফেরার পথে বাড়ৈভোগ বালুর মাঠ দিয়ে তার এক সহকর্মীকে নিয়ে পায়ে হেঁটে বাসায় যাওয়ার পথে এলাকার সন্ত্রাসী দানিয়ালসহ অপর যুবক তাদের দু’জনকে আটক করে। পরে আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চেয়ে নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
একপর্যায়ে আমাদের দানিয়ালের অটোরিকশার গ্যারেজে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আমার সহকর্মীকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে আমার মোবাইল ফোন দিয়ে আমার বাবাকে ফোন করে টাকা চাওয়া হয়। আমার বাবা তাদের হাতে ৬ হাজার টাকা তুলে দেয়। টাকা পাওয়ার পরও তারা আমাকে ছেড়ে না দিয়ে আটকে রেখে রাতভর একাধিকবার ধর্ষণ করে ভোররাতের দিকে ছেড়ে দেয়। বাসায় যাওয়ার পথে আমার নানির সঙ্গে আমার দেখা হলে নানিকে নিয়ে বাসায় চলে যাই। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, এক গার্মেন্টকর্মী তরুণী গত শুক্রবার রাতে কাজ শেষে আরেক সহকর্মী ছেলের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় দানিয়াল ও তার আরেক বন্ধু তাদের পথরোধ করে তাদের নানা ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে। একপর্যায়ে নিজের ইজিবাইকে তুলে তরুণীকে গ্যারেজে নিয়ে দানিয়াল প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে দানিয়ালের আরেক বন্ধু তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে সারারাত তরুণীকে দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণ শেষে ভোরে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত দু’জনের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।