× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উন্নয়নের মহাসড়কে প্রাণিসম্পদ খাতকে যুক্ত করতে চাই: প্রাণিসম্পদ ডিজি

এক্সক্লুসিভ

সিরাজুস সালেকিন
১৭ নভেম্বর ২০২১, বুধবার

নিরাপদ প্রাণিজ পুষ্টি সরবরাহের লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ খাতে সামগ্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। গতকাল মানবজমিনের কাছে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানান। ডা. শাহজাদা বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, উদ্যোক্তা, খামারিসহ এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই একে অপরের পরিপূরক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা চলছে, সারাবিশ্বে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে সেই মহাসড়কে প্রাণিসম্পদ খাতকে যুক্ত করতে চাই। ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের কাতারে যুক্ত হওয়ার যে লক্ষ্য, সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রাণিসম্পদ খাতেরও উন্নয়ন অব্যাহত রাখা জরুরি। এজন্য দেশকে দুধ-মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার কাজটি এগিয়ে নিতে হবে। খাত সংশ্লিষ্ট সকলকে একই সঙ্গে, একই গতিতে কাজ করতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে সামগ্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করে যাবো।
যেসব জায়গায় ঘাটতি রয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করবো। এই দপ্তরে সেবাপ্রার্থীদের যেন ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সেজন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। মাঠ পর্যায়েও বার্তা পৌঁছে দিয়েছি, যেন সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি না করা হয়। কারণ, এই খাতের খামারি ও উদ্যোক্তাদের কল্যাণমূলক কাজ দেখার দায়িত্ব আমাদের। আমি মাঠ পরিদর্শনে গেলে কাউকে শাস্তি দেয়ার উদ্দেশ্যে যাই না। আমার উদ্দেশ্য থাকে ভুল সংশোধন করা। শাস্তি না দিয়ে অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে পরিবর্তন নিয়ে আসা বেশি কার্যকর। তিনি আরও বলেন, আমাদের অন্যতম লক্ষ্য প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা। ইন্ডাস্ট্রিকে আধুনিকায়ন ও নতুন প্রযুক্তি আমদানির কারণে প্রান্তিক খামারিরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এজন্য আমরা খামারিদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছি। প্রশিক্ষণের সুফল যেন সবাই সমানভাবে পায় সে বিষয়টি সমন্বয় করা হচ্ছে কেন্দ্রীয়ভাবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, দুধ-মাংসের ঘাটতি মেটানোর জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য আমদানি নীতিতেও সংশোধনী আনার চিন্তা হচ্ছে। দুধ-মাংসে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে খামারিদের ঘরে ঘরে সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।  বড় বড় প্রকল্পের মাধ্যমে এই কাজগুলো করা হচ্ছে। নিজেরা দুধ-মাংসে স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়ার পর আমরা রপ্তানির দিকে নজর দেবো। আমাদের লক্ষ্য নিরাপদ প্রাণীপুষ্টি সরবরাহ। প্রাণিজ আমিষের পুষ্টিমান যেন নিরাপদ থাকে সেই নিশ্চয়তা বিধানে কাজ করছি। খামারিদের দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া তাদের ওষুধ, ভ্যাকসিন থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে। ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা যেন হয়রানির শিকার না হন সেজন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে ডা. শাহজাদা বলেন, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা এই খাতের চালিকাশক্তি। তারা যেন নিয়ম মেনে স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে পারে সে বিষয়টিও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। তারা যেন কোনো প্রকার বাধার সম্মুখীন না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর